রায় কার্যকর নিয়ে হতাশ বিশ্বজিৎ পরিবার
পুরান ঢাকার বহুল আলোচিত দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পার হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কিন্তু রায় ঘোষণার প্রায় এক বছর পরও পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে রায় বাস্তবায়ন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বিশ্বজিতের পরিবার।
বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ছেলের হত্যাকাণ্ডের রায় পেয়ে খুশি হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, আমরা সুবিচার পেয়েছি। কিন্তু এখন প্রশ্ন জেগেছে, আদৌও এ রায় কার্যকর হবে কিনা?
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যার পর অনেকেই আমাদের দেখতে এসেছেন। কিন্তু এ সরকারের কেউ আসেননি। আমি খুনিদের রায় কার্যকর দেখতে চাই। খুনিদের সাজা না দেখে আমি মরতে পারি না।’
বিশ্বজিতের ভাই উত্তম কুমার দাসও বিচার বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের রায় হয়েছে, কিন্তু এখনও কার্যকর হয়নি। এতে আমরা হতাশ, রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সন্তুষ্ট হতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেকেই ঢাকায় বসবাস করছেন। আমরা এটাও জানি যে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও অনেকের নাম চার্জশিটে আসেনি।’
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎ দাসকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ডিবি পুলিশ। একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এবিএম নিজামুল হক আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনসহ মোট ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।