ষষ্ঠ শ্রেণী পাস কেমিস্ট তৈরি করেন ভেজাল ওষুধ
ষষ্ঠ শ্রেণী পাশ মো. আকবর আলী ভাষানী (৪০)।
রাজধানীর বংশালের একটি ভেজাল ওষুধ কারখানার তিনি প্রধান কেমিস্ট। নামিদামি কোম্পানির ধনুষ্টংকারের ইনজেকশন, হৃদরোগের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের ওষুধ তৈরি করে আসছিলেন তিনি।
বংশালের কসাইটুলির একটি বাসার ওই কারখানায় সোমবার অভিযান চালায় র্যাব। ওষুধ তৈরির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় ভাষানীকে। ভেজাল ওষুধ তৈরির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অভিযান চলাকালে আমরা দেখি ভাষানী ১০০ টাকা মূল্যের ধনুষ্টংকারের ইনজেকশন বানাচ্ছিল। কেমিস্ট কোম্পানির ২ টাকা মূল্যের ব্যথানাশক ইনজেকশন এট্রোপাইন বিপি দিয়ে উক্ত ইনজেকশনের বোতলে ধনুষ্টংকারের লেবেল লাগাচ্ছিল। গ্যাসট্রিকের ওষুধ এ্যানট্যাকের স্টিকার দিয়ে বানাচ্ছিল হৃদরোগের ওষুধ। নাকের ড্রপ বানাচ্ছিল শুধু পানি দিয়ে। এ ছাড়া সে ব্যথার ওষুধ রোলাক, এ্যান্টিবায়োটিক, এ্যাজিথ্রোমাইসিন নাকের ড্রপ, বায়লোজলসহ মোট ছয় ধরনের ভেজাল ওষুধ তৈরি করছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করা ভাষানী গত দুই বছর ধরে ওই বাসাতে ভেজাল ওষুধ তৈরি করছে। মিটফোর্ডের পাইকারি বাজারের মাধ্যমে সারা দেশে এ সব ওষুধ বিক্রি করে আসছিল। তার কাছ থেকে ওষুধ তৈরির মোড়ক, লেবেল, ফয়েল, বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে।’
র্যাবের এ অভিযানের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- র্যাব ১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাজ্জাদ হোসেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ তত্ত্বাধায়ক মাহবুব হোসেন প্রমুখ