ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচন্ড শীতেও সকালে খেজুর রসের দেখা মিলে না
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারোপাহাড় সংলগ্নে ঝিনাইগাতী উপজেলা অবস্থিত। ভারতের মেঘালয় রাজ্য সীমানার নিকটে হওয়ায় এবার এই পাহাড়ী অঞ্চলে প্রচন্ড শীত দেখা দিযেছে । ফলে গরীব,দুঃখী ছিন্নমূল মানুষেরা অতি কষ্টে দিনাপাত করছে।
কন,কনে হাড়-কাপানো শীতকে মেনে নিয়ে ভোর বেলায় কাজের সন্ধানে বেরিয়ে যায় গরীব মানুষগুলো। আসন্ন বোরো ফসলের মাঠ পরিস্কার পরিছন্নতার কাজও শুরু হয়েছে পুরোদমে। শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা সকাল থেকেই ফসলের মাঠে কাজ করেন। পরিবার পরিজনেরা শীতের কাঁপনীতে আগুনের তাঁপ নিচ্ছে,পাশাপাশি খর দিয়ে রান্নাবান্নার কাজও করছেন মহিলারা। হাট-বাজারেও শীত থেকে বাচাঁর তাগিদে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার পরপরই আগুনের তাঁ নিতে দেখা যায় ছিন্নমূল মানুষের। প্রচন্ড শীত পড়ায় গরীব মানুষের দুঃখের শেষ নেই,গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই ঘর থেকে বাহির হচেছ না। শীত নিবারণের জন্যে ছিন্নমূল মানুষের পাশে সরকারী বা বেসরকারী,কোন সংগঠন এবং কি ধর্নাঢ্য পরিবার এখনও এগিয়ে আসেনি। পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষেরা ঘনকুয়াশা ও শীতের মধ্যে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে।
অপর দিকে শীত আসলেই খেঁজুরের রস নিয়ে ভোর বেলা থেকে রস বিক্রেতারা বাজারে মাটির কলসে ভরে ভীড় জমাতো। ক্রেতারাও শীতের সকালে ক্রয় করে তৃপ্তি নিয়ে পান করতো খেজুরের রস। অর্ধযুগ আগেও এর আমদানী ছিল অহরহ। বর্তমানে এই উপজেলায় খেঁজুরের গাছ কর্তনের ফলে রসের আমদানী না থাকায় শীতকালীন রসের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা বাসী। গ্রামে ২/১ জনের রস বিক্রেতাকে দেখা গেলেও শহরে তা আর চোখেই পড়েনা।