প্রতারণা মামলা থেকে মুক্ত শাকিল খান
যশোরে দায়ের করা প্রতারণা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিল খান।
মামলার চার্জগঠন শেষে রবিবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মফিজুর রহমান তাকে অব্যাহতির নির্দেশ দেন।
পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশে শাকিল খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের পেশকার ফরহাদ হোসেন।
তবে মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তারা হলেন- নিম হারবাল কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমান মিজান ও অ্যাসিস্টেন্ট সেলস ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন।
চিত্রনায়ক শাকিল খানের পরিচালনাধীন নিম হারবাল কোম্পানি কর্তৃক প্রতারিত হয়ে যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়ার পপুলার এন্টারপ্রাইজের মালিক কামরুল হাসান কচি মামলাটি করেছিলেন।
কামরুল হাসান কচির অভিযোগ, তিনি নিম হারবাল লিমিটেডের পরিবেশক হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন। শহরের চুড়িপট্টি এলাকার লাল্টু স্টোর ছিল কোম্পানির প্রথম ডিলার। পরে ডিলারশিপ দেওয়া হয় কচিকে। এ জন্য লাল্টু স্টোরে রক্ষিত মালামাল ১২ শতাংশ কম দামে গ্যারান্টি কার্ডসহ তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর মিজানুর রহমানের প্রস্তাবনা মতে কামরুল হাসান কচি নিম হারবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল খানের সঙ্গে পণ্য বাজারজাতকরণ নিয়ে আলোচনা করেন। কোম্পানি বেতন দেবে জানিয়ে শাকিল খান তিন কর্মী নিয়োগ দিতে বলেন। একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেন। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পরিবর্তন করা হয়নি। এ ছাড়া নিয়োগ করা কর্মচারীদের বেতনও দেওয়া হয়েছে নামমাত্র।
নিয়োগ করা তিন কর্মীর বেতন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য মিলে সর্বমোট এক লাখ ৯৩ হাজার টাকা ফেরত ও ডিলারশিপ অব্যাহতি চেয়ে বিভিন্ন সময় দেনদরবার করেন কামরুল হাসান কচি। কিন্তু টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করেন কোম্পানির কর্ণধাররা। এ কারণে ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতারণার মামলা করেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্তদের মধ্যে কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমান মিজান ও অ্যাসিস্টেন্ট সেলস ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণার সত্যতা পান। তবে অপর আসামি চিত্রনায়ক শাকিল খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার চার্জ গঠনের দিন ছিল রবিবার। শুনানি শেষে বিচারক শাকিল খানকে অব্যাহতি এবং অপর দু’জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।