বিডিআর বিদ্র্রোহে বিএনপি-জামায়াত জড়িত : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সালে সংগঠিত বিডিআর বিদ্র্রোহের নামে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াত জড়িত। ওই পাকিদের দালালরা আর যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মিলনায়তনে রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই পতাকা নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। এই পতাকা নিয়ে কোনো শকুনিকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। দরকার হলে বুকের রক্ত দিয়ে দেব।
শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত-বিএনপি হত্যাকারী বিডিআর জওয়ানদের রক্ষার চেষ্টা করেছে। আসামিদের পক্ষে বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা মামলায় লড়েছে। জড়িত না থাকলে তারা আসামিদের পক্ষে কেন আইনজীবী ছিল। কেন তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করল। এতজন করে আইনজীবী আসামিরা পেল কোথায়! এত টাকিই বা পেল কোথায়?
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহে মদদ দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারকে উৎখাত করতে একে একে সব কাজ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাদের সরকারের আমলের বিভিন্ন বিষয়ের সমালোচনা করেন। বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া আর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করাই বিএনপি-জামাতের লক্ষ্য ছিল বলেও এ সময় মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে সহিংসতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আর্মি অফিসার, বিজিবির অফিসার-সৈনিক, পুলিশ সদস্য, বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি নেত্রী খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
শনিবার খালেদা জিয়ার নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আগের দিন তিনি কাদের নিয়ে বক্তৃতা করলেন। কারা ছিল ওই মঞ্চে? আলবদর আর রাজাকাররা। কাদের ছবি ছিল ওই বেলুনে? সে প্রশ্নও করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শহীদ পরিবারের সন্তান তৌহিদ রেজা নূর ও ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।