রুবেল-হ্যাপি ইস্যু : সব সিদ্ধান্ত আদালতের
ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট মামলায় বেশকিছু দিন ধরেই মিরপুর মডেল থানা সরগরম। শনিবার নারীঘটিত মামলা দায়ের করা হয়েছে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ এর ১ ধারায় ।এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্ণধার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মিরপুর থানা-মামলা আর ক্রিকেট এখন মিলেমিশে একাকার।
রবিবার মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তার(ভিকটিম) ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে বিবাদী। এবং পরবর্তীতে সে (ভিকটিম) যখন বিবাহের জন্য চাপ দেয় তখন সে (অভিযুক্ত) না করেছে। ফলে ভিকটিম শনিবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ এর ১ ধারায় মামলাটি করেছে।’
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘স্বাভাবিক ধারায় আমাদের তদন্ত এবং গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে ধরার জন্য এবং সে কোথায় আছে আমার তা জানার চেষ্টা করছি। আমরা তাকে পেলেই ধরব।’
রুবেল হোসেন জাতীয় দলের অন্যতম পেসার এবং বিশ্বকাপের ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলেও রয়েছেন। ভিকটিম বলেছে রুবলে বিয়ে করতে রাজি হলে মামলা তুলে নেবেন। সমঝোতার কোনো চেষ্টা করছেন কিনা এই প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘মেয়ে (ভিকটিম) এই ধরণের কথা কার কাছে বলেছে আমি জানি না। আমার কাছে বলেনি। এটা এখন আদালতের এখতিয়ার। আদালত মামলা একসেপ্ট করলে তখন আমার আপনার কারোরই কিছু করার থাকে না। সব সিদ্ধান্ত আদালত নেবে।’
বিসিবির মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘মামলা যখন হয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে যায়। এ ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। বাধ্যবাধ্যকতা আছে। মামলাটা যেদিন হয়েছে সেদিনই আদালতে চলে গিয়েছে। তাকে গ্রেফতার অভিযানও আমরা পরিচালনা করছি। এবং যেটা হচ্ছে দ্রুত বিচার আইনে একটা টাইম ফ্রেম আছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করার। কিংবা ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার। এবং তাই দেওয়া হবে।’