২ খেলোয়াড় নিষিদ্ধ, একজন তিরস্কৃত পাকিস্তানিদের ‘অসভ্যতা’ নিয়ে ভারতে লঙ্কাকাণ্ড
এমনিতেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কটা চিরকালই বৈরী আবহাওয়ার। এরপর যদি ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়েই পাকিস্তানের কেউ ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে অশ্লীল অঙ্গি-ভঙ্গি করে তাহলে অবস্থাটা কি দাঁড়ায়? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে শনিবার রাতে ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল ম্যাচশেষে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ‘অসভ্য আচরণ’ নিয়ে লঙ্কাকান্ড বেধে গেছে ভারতে। পাকিস্তানিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছে ভারতীয়রা। উপায়ান্তর না দেখে, ২ পাকিস্তানি হকি খেলোয়াড়কে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (আইএইচএফ)।
অপর এক পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে তিরস্কৃত করা হয়েছে।
ঘটনাটা একটু খুলেই বলা যাক। শনিবার রাতে ভুবনেশ্বরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে দুই চিরশত্রু ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ম্যাচে ৪-৩ গোল জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এমন জয়ের উল্লাসে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা বাধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে উঠেছিল। তবে নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন পাকিস্তানি খেলোয়াড় মোহাম্মদ তৌসিক, আলি আমজাদ ও শাফকাত রাসুল। আনন্দ্যের আতিশায্যে আঙ্গুল দিয়ে বিশেষ ইঙ্গিত করেছেন তারা, যা কুরুচিপূর্ণ ও অসভ্য ইঙ্গিত হিসেবেই বিবেচিত।
পাকিস্তানিদের এমন কান্ডে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ভারতীয় হকি দল, হকি কর্মকর্তা, মিডিয়া ও উপস্থিত সাধারণ ভারতীয় ভক্তরা। অবস্থাটা এতটাই সিরিয়াস হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় মিডিয়ার তোপের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজারকে; খেলোয়াড়দের হয়ে ক্ষমা চেয়েও ভারতীয়দের ক্রোধ কমাতে পারেননি তিনি।
এদিকে, পাকিস্তানি দলকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না দিলে আসরের তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলা বাতিল করার পাশাপাশি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত যে কোনো হকি ইভেন্ট বয়কট করা হবে বলে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনকে হুমিক দিয়েছে ভারতীয়রা। শেষ অবধি রবিবার ২ পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও একজনকে মৌখিবভাবে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি শীতল করার চেষ্টা করেছে আইএইচএফ।