শিল্পকলায় বিজয় উৎসব শুরু

AKBAR-NEWS_thereport24বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে শুরু হয়েছে ১৩ দিনব্যাপী বিজয় উৎসব। নাটক মঞ্চায়ন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্য চিত্রানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।
উৎসবের অনুষ্ঠানগুলো একইসাথে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র ও জাতীয় নাট্যশালার ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল কালচারাল আর্কাইভে।
একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে রবিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বর্ণাঢ্য বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
শুরুতেই স্বাধীনতার শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর ‘মরণ সাগর পাড়ে তোমরা অমর, তোমাদের স্মরি’ এই গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন কণ্ঠশিল্পী মিতা হক।
উৎসবের উদ্বোধন করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস নানাভাবে বিকৃত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার চেষ্টা করেছে এবং তা এখনও অব্যাহত আছে। আজকের বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামের সঙ্গে সংস্কৃতিকর্মীরা ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বাধীনতার সুফল দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে তিনি শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।
AKBAR-NEWS-inner_thereport2বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, স্বাধীনতার শহীদদের স্মরণ করে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তারা মৃত্যুঞ্জয়ী। বিশ্বাসঘাতক চক্রকে শাস্তি দেওয়া বর্তমান সময় ও মানবতার দাবি।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেক গৌরবের ইতিহাস। যতদিন পর্যন্ত আমরা শহীদদের ঋণ শোধ করতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সবশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে সুরেরধারা, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী ও ভাওয়াইয়া গানের দল। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে- ইয়াসমিন আলী ও মীম। একক গান পরিবেশন করেন শাহীন সামাদ, আরিফ রহমান, শিবু রায়, কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন তারিক সুজাত ও রবিউল হুসাইন। একক আবৃত্তি করেন আশরাফুল আলম ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যালোকের শিল্পীরা।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend