গণতন্ত্র আজ শহীদ : মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র আজ শহীদ, নিহত। সেই গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্দোলনের শফত নিতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নতুন করে ৩ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিদিনই তালিকা বাড়ছে। ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ৫০ লাখ পুলিশ নিয়োগ দিয়েও সরকার রেহাই পাবে না। দেশের মানুষ আজ এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে হটাতে শফত নিয়েছে।
তিনি বলেন, যে গণতান্ত্রিক শাসনের স্বপ্ন নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল, স্বাধীনতার পর পরই আওয়ামী লীগ তা ধ্বংস করে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে এলেও আওয়ামী লীগ সে দিন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি ও একদলীয় শাসনে চলে গিয়েছিল। যে কারণে সে দিন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক নেতারা আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। তারা একদলীয় শাসনের দ্বিমত করেছেন।
ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবের মতো এখন তার সুকন্যাও গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি মেরে একে চিরতরে কবর দিয়েছে। কিন্তু অতীতে গণতন্ত্র ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ রেহাই পায়নি, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারও পাবে না।
তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলন দমাতে এ সরকার পোশাকধারী র্যাব-পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাজারও নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও খুন করে অতীতেও কোনো আন্দোলন ধ্বংস করা যায়নি। এ ফ্যাসিস্ট সরকারও পারবে না।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অবৈধ-অনৈতিক সরকার লুটপাট-দুর্নীতি করে দেশের সব খেয়ে ফেলেছে। এবার তারা সুন্দরবনকে গিলে খাচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আরেকবার লড়াই করতে হবে। যে লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে। দেশে সুশাসন সংহত হবে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরে আরা সাফা প্রমুখ।