নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে কিছু নেই: সাজেদা
আমরা যখন যুদ্ধ করেছি, একসাথেই যুদ্ধ করেছি। সবার সম্মিলিত চেষ্টায়ই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই সবাই মুক্তিযোদ্ধা। এখানে নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
সোমবার রাজধানীতে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধ্বনা অনুষ্ঠানে তিনি আজ এসব কথা বলেন।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট্র বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলার মায়েরা-মেয়েরা ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু আমাদের মুক্তির সংগ্রাম চলছেই। আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে। সংসদ উপনেতা দল-মত নির্বিশেষে একটি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বজনীন তালিকা প্রণয়নের জন্য উপজেলা ভিত্তিক মহিলা কমিটি করে এসব অনন্য নারীদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানকে জাতির সামনে তুলে না ধরলে ইতিহাসের একটি অংশ অলিখিতই থেকে যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অনেকেই স্বীকার করতে চাননা। কিন্তু এটি ইতিহাসের সত্য যে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যদি সীমান্ত খুলে না দিতেন তাহলে এক কোটি বাংলাদেশী নাগরিকের পক্ষে সেদেশে বসবাস করা সম্ভব হতো না। তিনি আশ্রয় দিয়ে, রিলিফ দিয়ে কৌশলগত সহায়তা দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছেন। একথা অস্বীকার করার জো নেই।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২২৩ জন নারী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, যাঁদের প্রত্যেককে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধ্বনা দেয়া হয়। শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, রোকেয়া কবীর, শিরিন বানু মিতিল, ডা. শেফালিকা দাস, জিনাত আরা বরকত, খালেদা মনজুর ও সন্ধ্যা রানী সাংমাসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধ্বনা অনুষ্ঠানে এসে প্রধান অতিথির হাত থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট, কবি কাজী রোজী এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের মহাসচিব নাজমুল হাসান পাখী, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির উপদেষ্টা মিসেস সেগুফতা নেসার, সাউথ এশিয়ান মিউজিক ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান ড. শরীফ আশরাফুজ্জামান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ। আয়োজক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।