গোপনাঙ্গের চুল পরীক্ষায় ধরা পড়বে ধর্ষক!
ভবিষ্যতে গোপনাঙ্গের চুল পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষকদের ধরা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দেওয়া তথ্যনুযায়ী, গোপনাঙ্গের চুলে বাস করা ব্যাকটেরিয়া সনাক্তের মাধ্যমে ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এই খবর প্রকাশ করেছে।
এক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, নারী ও পুরুষের গোপনাঙ্গের চুলে বসবাস করা ব্যকটেরিয়ার মধ্যে এতটাই পার্থক্য বিদ্যমান যে বিশেষজ্ঞদের পক্ষে ওই পার্থক্য বোঝা সম্ভব।
গবেষকরা বলছেন, ধর্ষক যদি প্রমাণ সরাতে কনডম ব্যবহার না করে তবুও এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই ধর্ষকে শনাক্ত করা যাবে।
অষ্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিলভানা ট্রিডিকি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় বলে এখন বেশিরভাগ ধর্ষকই ধর্ষণের সময় কনডম ব্যবহার করেন।
তিনি আরো বলেন, যৌনমিলনের সময় দুজনের গোপনাঙ্গের চুলের ব্যকটেরিয়াগুলো বদল হয় ফলে বীর্য পরীক্ষা ছাড়াও ওই চুল পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব।
সাত নারী পুরুষের উপর পরীক্ষার পর গোপনাঙ্গের চুলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে পুরুষের ক্ষেত্রে ৭৩ ধরণের এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৭৬ ধরণের ভিন্নতা পেয়েছেন গবেষকরা। এদের মধ্যে একজোড়া প্রেমিক প্রেমিকা ছিল যারা পরীক্ষার ১৮ ঘন্টা আগে যৌন মিলন করে এবং তাদের গোপনাঙ্গের চুলের ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে সবচাইতে বেশি মিল ছিল এবং মিলনের সময় তাদের ব্যকটেরিয়া বদলও ধরা পরেছে এই পরীক্ষায়।