সতীত্বের অগ্নিপরীক্ষায় জর্জিয়ার যুবতীরা
কুমারিত্বের অগ্নিপরীক্ষা। আজকের জর্জিয়ায় মেয়েদের বিয়ের প্রধান শর্তই হলো, তাঁদের কুমারিত্বের পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎকরাতে হবে ভার্জিনিটি টেস্ট। রিপোর্টে তাঁদের কুমারিত্ব প্রমাণিত হলে, তবেই বিয়ের প্রশ্ন। না-হলে নষ্ট মেয়ের তকমা। একংবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এই মধ্যযুগীয় মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে পারেনি একদা সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য জর্জিয়া। ইতিমধ্যে বিবাহে ইচ্ছুক বহু যুবতী নিজের ভার্জিনিটি টেস্ট করিয়েছেন। তবে অনেকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সদর্পে ঘোষণা করেছেন তাঁরা এই নির্দেশ মানছেন না। তাঁদের প্রশ্ন, কুমারিত্ব কি শুধুই নারীদের জন্য। কোনো পুরুষও এই একই পরীক্ষা করাচ্ছেন না-কেন।
বিবিসির এক রিপোর্ট অনুযায়ী, জর্জিয়া ফরেন্সিক ব্যুরোতে এই টেস্টের জন্য হবু কনেদের কাছ থেকে ৬৯ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ছয় হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। যদি টেস্ট রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দরকার, তা হলে আরো বেশি কড়ি গুনতে হবে। জর্জিয়ার লোকেদের কাছে এই টেস্টের খরচ, তাঁদের গড় মাসিক খরচের সমান। তা-ও পরীক্ষায় পিছপা হচ্ছেন না কেউই। বরং চার্চের তরফে এই টেস্টের জন্য মহিলাদের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। এই দলের সদস্যদের, ভার্জিনিটি টেস্টের জন্য কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না।
অন্য দিকে, কিছু যুবতী এই টেস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। এক মহিলা জানান, তাঁকে এই পরীক্ষা করতে বলা হলে, তিনি কোনো মতেই তা করাবেন না। ব্যাখ্যা, তাঁর সঙ্গে যদি কেউ জীবন অতিবাহিত করতে চায়, তা হলে তাঁকে তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মহিলা প্রশ্ন তুলেছেন, পুরুষরাও ভার্জিনিটি টেস্ট করাচ্ছে না-কেন?
যদিও চার্চের ব্যাখ্যা, এই টেস্টের উদ্দেশ্য এইচআইভি, এইডসের মতো রোগের হাত থেকে যুবতীদের বাঁচিয়ে রাখা। এই টেস্টের জন্য চার্চের তরফে মহিলাদের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। ভর্জিনিটি টেস্ট করানোর জন্য যুবতীদের ওপর কোনো রকম চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না বলেও চার্চ সাফাই দিয়েছে। কোনো যুবতী কুমারী প্রমাণিত হলে তাঁদের সার্টিফিকেট এবং একটি সুন্দর পোশাক দেওয়া হচ্ছে। শনিবার রেবেলেশন ক্রিশ্চন চার্চের এক অনুষ্ঠানে ১০৪ জন টিন এজার নিজের ইচ্ছায় ভার্জিনিটি টেস্ট করায়।