বিজয় দিবসে আ. লীগের গুলি বর্ষণ!
জামালপুর শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর সময় মুক্তমঞ্চের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর সোহরাব হোসেন বাবুল ৭টি ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন। অতর্কিত গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি ও জামালপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছিল। এ সময় মুক্তমঞ্চের সামনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শত শত সদস্যের উপস্থিতে তিনি গুলি বর্ষণ করেন।
সোহরাব গুলি বর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি ফাঁকা গুলি করেছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই।
জামালপুর সদর থানার ওসি মুজিবুর রহমান মজুমদার জানান, বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি দেয়া হয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় চত্বরে, বৈশাখী মেলার মাঠ বা স্মৃতি স্তম্ভের পাশে নয়।
তিনি জানান, ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর সময় মাইকের প্রচ- আওয়াজে তিনি কোন গুলির আওয়াজ পাননি।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতার প্রকাশ্য ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, বাবুল সাহেব সরকারি দলের নেতা। তিনি যাই করেন না কেন তার জন্য তো সাতখুন মাফ!
বিজয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতার গুলিবর্ষণের ঘটনায় জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তদন্তপূর্বক সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এমন প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।