ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসি ও এএসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
অন্য একটি মামলার আলামত থাকা মোবাইল ফোন রেখে দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আইনজীবীর সহকারী মো. রাশেদ মিয়া এ মামলা করেন।
আদালত অভিযোগটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ১১ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম মৃধা নোমান জানান, ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ডেকে এনে বাদীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট রেখে দেন ওসি ও এএসআই। ওই মোবাইল ফোনের মধ্যে বাদীর দায়ের করা আখাউড়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে হওয়া আরেকটি মামলার আলামত রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়ার মো. রাশেদ মিয়া অভিযোগ করেন, ২৫ নভেম্বর বন্ধু দুলাল মিয়ার শ্বশুরবাড়ি আখাউড়ায় বেড়াতে যান। ফেরার পথে আখাউড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় ২৮ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন সেট দিয়ে তারা ছাড়া পান। পরে কনস্টেবল নাজমুল বিকাশের মাধ্যমে এক হাজার টাকা ফেরত দেন ও ম্যাসেজের মাধ্যমে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল নাজমুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এর পর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল।
অবশ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকে ঘুষ দেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তি থানায় টাকা নিয়ে এসেছিল। এ সময় সে মোবাইল ফোনে রেকর্ডও করতে থাকে। তখন তাকে আটকের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।’