লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত সিলেটে ১৩ কাউন্সিলরের গোপন বৈঠক নিয়ে তোলপাড়
নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩ জন কাউন্সিলর গোপন বৈঠক করেছেন। গোপন এ বৈঠকের খবর চাউর হলে নগরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। কী কারণে হঠাৎ করে সিসিকের ১৩ কাউন্সিলর গোপন বৈঠক করেছেন এর নেপথ্যের কারণও খুঁজছেন সচেতন মহল।
বুধবার রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নগরীর লামাবাজারস্থ রয়েল শেফ রেস্টুরেন্টে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ১০ জুন সিসিকের সাধারণ সভায় প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েছ লোদীর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল সেটা রেজুলেশন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
ওই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, শান্তনু দত্ত, মখলিছুর রহমান কামরান, আজাদুর রহমান আজাদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, সিকন্দার আলী, আবজাদ হোসেন আমজাদ, তৌফিক বকস রিপন, মুস্তাক আহমদ, ইলিয়াছুর রহমান, সাইফুল আলম বাকের, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহানার খানম মিলন ও শামীমা স্বাধীন। তবে তাদের অনেকেই বলছেন, ‘কয়েস লোদী চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন।’
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিসিকের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় যাতে কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন না হয় সে জন্য গত বুধবার রাতে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী নিজ উদ্যোগে ১২ জন কাউন্সিলরদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেন।
সূত্র জানায়, কয়েস লোদী ওই ১২ জনকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে বৈঠক করেন। এছাড়া মাসিক সাধারণ সভা কার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠক আহবানকারী কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সাধারণ সভা হয়েছে। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র সালেহ আহমদ চৌধুরী। সভায় মোট ১২টি এজেন্ডা আনা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থার অনুমোদনের বিষয়টি। গত সভায় ২৯ জনের গোপন ভোটের মধ্যে ২৬ জনই প্যানেল মেয়র কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বৃহস্পতিবার মাসিক সাধারণ সভায় কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুনের পর সিসিকে আর কোনো সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘদিন পর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সাধারণ সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।