৭ বছর পর মেলান্দহ ছাত্রলীগের সম্মেলন
অনেক কল্পনার অবসান ঘটাতে অবশেষে ৭বছর পর মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্লেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০ ডিসেম্বর । বস্ত্র-পাট প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মির্জা আজম এমপি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। জেলা আ’লীগের সভাপতি এড.বাকিবিল্লাহ, সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারহান জাহেদী সফেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম হাবিবুর রহমান চাঁন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সুজন, সম্পাদক আ: আওয়াল ডনি, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজনু, সাবেক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সম্মেলনকে ঘিরে নতুন নেতৃত্বের ইমেজ বইছে। নবীনদের মাঝে। প্রার্থীদের যার যার অবস্থান টিকিয়ে রাখতে মিছিল মিটিং চলছে সমান তালে। ব্যানার ফ্যাস্টুন সজ্জিত করেছে রাস্তাসহ দর্শনীয় স্থানে। উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক মাহবুবুল হাসান মাসুক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন।
চলতি ছাত্রলীগ সম্মেলনে সভাপতি পদে ৩জন এবং সম্পাদক পদে ৪জন প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। সভাপতি পদের প্রার্থীরা হলেন-কাজিরপাড়ার আব্বাস হাজীর ছেলে বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনি, নয়ানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক-জালালপুরের ফরিদুর রহমান খান হিরোর ছেলে রানা খান এবং উত্তর আদিপৈত গ্রামের (হোটেল) আ: মালেকের ছেলে ইমরান হাসান।
সাধারণ সম্পাদক পদের প্রাথীরা হলেন-মলিকাডাঙ্গা গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে খালেদ আল হোসাইন আরজু, দক্ষিণ আদিপৈত গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্বা নওশের আলীর নাতিন ডা: জাকির হোসেনের ছেলে মো: আলাউল করিম মিম, ব্র্যাক মোড়ের আশি শেখের ছেলে আক্তার হোসেন এবং উত্তর আদিপৈত গ্রামের আবু শামা মেম্বারের ছেলে আবু হাসান।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাহবুবুল হাসান মাসুক জানান-শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন ও স্বচ্ছ রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছে। অছাত্র এবং নেশা-রোগমুক্ত ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়ে ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবেন। এই প্রথম ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসা প্রার্থীদের একাডেমিক যোগ্যতা, মেধা, নেতৃত্বের দক্ষতার চুলছেড়া বিশ্লেষন অনুকরণ করা হচ্ছে। কলঙ্কমুক্ত, নেশা-রোগমুক্ত রাখতে ব্লাড ও শারিরীক পরিক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যা সত্যিই নজিরবিহীন পদক্ষেপ। মাহবুবুল হাসান মাসুক আরো জানান- সভাপতি পদের মনোনয়ন ফরমে প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষাগত যোগ্যতায় লেখেছেন, তিনি ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স পরিক্ষা দিয়েছেন। ফলাফল বের হয়নি। একই সাথে জামালপুর ল’কলেজে এডমিশন নিতে যাচ্ছেন। রানা খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখেছেন-মেলান্দহ সরকারি কলেজে বিএ প্রথম বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। একই কলেজে ইমরান হাসানও এইচএসসি’র প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্র্থীদের মধ্যে খালেদ আল হোসাইন আরজু এসএসসি পাশের পর ঢাকা পলিটেকনিকেল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারে পড়াশোনা করছেন। তিনি কেন্দ্রীয় কারীগরি ছাত্র পরিষদের সদস্য। এছাড়া তিনি জামালপুর ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোরামেরও সদস্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন। পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের এগিয়ে নিতে-সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি অবদান রাখছেন। আলাউল করিম মিম ২০০৯ সালে কলাবাধা হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশের পর গাজীপুর মডেল ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে অধ্যয়ন করছেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে তিনিও ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। আক্তার হোসেন শিক্ষাগত যোগ্যতা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে উন্মুক্ত থেকে এসএসসি পাশ এবং আবু হাসানও এসএসসি পাশ উল্লেখ করেছেন। নতুনদের কাছে প্রত্যাশা দেশ প্রেম বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিবে।