বেতন কমিশনের সুপারিশ, সর্বনিম্ন মূল বেতন ৮২০০, সর্বোচ্চ ৮০ হাজার
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় শতভাগ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বেতন ও চাকরি কমিশন।
আজ রোববার সকাল ৯টায় অর্থমন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
কমিশন বিদ্যমান বেতন কাঠামো ২০টি ধাপ থেকে কমিয়ে ১৬টি করার সুপারিশ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ও সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা মূল বেতন নির্ধারণ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ করছে বেতন ও চাকরি কমিশন।
বর্তমান কর্মচারীদের বছরে বেতন-ভাতা বাবদ ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কমিশনের প্রস্তাবিত রিপোর্ট বাস্তবায়ন করতে হলে ৬০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন পড়বে।
বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, সংযোজন-বিয়োজন শেষে আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবো।
বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের জন্য সপ্তম কমিশন যে প্রস্তার দিয়েছিলো তার গড় অনুপাত ছিলো ১৫ ভাগ। আর বর্তমান জাতীয় বাজেটের গড় অনুপাত হচ্ছে ১৪.২ ভাগ।
এছাড়া বর্তমান কমিশন কর্মকর্তা কর্মচারীদের ডেপুটেশন বাতিল করার সুপারিশ করেছে। প্রেসনে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভাতা বাতিলের সুপারিশ করেছে।
এর আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের বেতন ও চাকরি কমিশন গঠন করা হয়।
কমিশনের ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলে পরে আরও ছয় মাস বাড়িয়ে এক বছর করা হয়।
নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়িত হলে ১৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এর আওতায় আসবেন। এর মধ্যে চাকরিতে সক্রিয় রয়েছেন প্রায় ১১ লাখ। আর দু’ লাখ অবসরকালীন হিসেবে এ সুবিধার আওতায় চলে আসবেন।
সর্বশেষ ২০০৭ সালে সপ্তম পে-কমিশন গঠন করা হয়। যার রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে সর্বশেষ সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়।