শ্রীবরদীর সেই চাঁদাবাজ ওসিএলএসডি কামরুলের অবশেষে বিদায়
তারেক মুহম্মদ আব্দুল্ল্হা রানা: অনিয়ম, সীমাহীন দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ, সরকারী ভাবে চাল ও গম সংগ্রহ অভিযানে নিম্নমানের চাল/গম ক্রয়, মিল মালিকদের জিম্মি করে পিসি গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে খাদ্য বিভাগের উর্দ্বতন কর্তৃপরে নির্দেশে নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে অবশেষে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন শ্রীবরদী সরকারী খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) কামরুল হাসান। গত শনিবার রাতে নতুন ওসিএলএসডি রফিকুল ইসলামের কাছে শ্রীবরদী গোদামের দায়িত্ব বুঝে দেয় বিতর্কিত এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, উর্দ্বতন কর্তৃপ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিগত দু’মাস আগে তাকে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় বদলীর আদেশ প্রদান করলেও কর্তৃপরে বদলীর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে একই ষ্টেশনে বহাল তবিয়তে থেকে চাকুরী বিধিমালা লঙ্ঘন করে সে। তার স্থানে নতুন কর্মকর্তা হিসেবে রফিকুল ইসলাম বিগত কয়েক মাস আগে যোগদান করলেও কামরুল হাসান শেরপুরের ডিসি ফুডকে ম্যানেজ করে নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদানে গড়িমসি করে আসে। সূত্র জানায়, বিগত মহাজোট সরকারের খাদ্যমন্ত্রী ডঃ আব্দুর রাজ্জাকের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে কামরুল হাসান আমন, বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহ অভিযানে নিম্নমানের চাল ক্রয়, টনপ্রতি পিসি বাবদ ল ল টাকা হাতিয়ে নেয়। এ নিয়ে জাতীয় সহ একাধিক স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলেও তৎকালীন সময়ে খাদ্য বিভাগের ডিজির ভয়ে তার বিরুদ্ধে খাদ্য বিভাগ কোন ধরনের বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নি। তার সীমাহীন অনিয়ম ও চাঁদাবাজী কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়ে স্থানীয় মিল মালিক ও গোদামের স্টাফরা। বিভিন্ন সময়ে প্রতারক এ কর্মকর্তা কামরুল খাদ্য বিভাগের ডিজি’র নাম ভাঙ্গিয়েও বিভিন্ন স্থানে নির্বিঘেœ চাঁদাবাজী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। তার বিদায়ের খবরে মিল মালিকদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। উপজেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিস্টার মিয়া বলেন-এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে ওসিএলএসডি কামরুল হাসান শ্রীবরদী থেকে ল ল টাকা হাতিয়ে নিলেও কর্তৃপ অনেকটাই নিরবতা পালন করেন। তার চাঁদাবাজী কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে অনেক মিল মালিক সরকারের সাথে চাল সংগ্রহ অভিযানে চুক্তি করেনি। তার বদলীর খবরে শ্রীবরদী বাসী আজ উল্লাসিত। এদিকে তার দায়িত্ব হস্তান্তরের পর খাদ্য গোদাম অভ্যন্তরে তাকে ল করে জুতা নিপে করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং কিছু সংখ্যক মিল মালিকরা বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।