‘প্রস্তাবিত পে-কমিশন বেসরকারি খাতের জন্য বড় ধাক্কা’

Govt-logo2প্রস্তাবিত পে-কমিশন বেসরকারি খাতে বড় ধরনের ধাক্বা। এর ফলে আর্থ-সামাজিকতায় এক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। কারণ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়লে জিনিসপত্রের চাহিদা বেড়ে যায়। আর চাহিদা বাড়লে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা দেখা দেয়। যার ফলে বেসরকারি খাতেও বেতন বাড়ানোর দাবি উঠবে। আর এই মুহূর্তে বেসরকারি খাতের বেতন বাড়ানোর মতো সক্ষমতা নেই বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
তবে এ ধাক্কা সামলে ওঠার মতো সক্ষমতা বেসরকারি খাতের আছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি নিজেও পে-কমিশনের সদস্য ছিলাম। পে-কমিশনের প্রস্তাব তৈরির সময় বিষয়গুলো মাথায় ছিল। দ্রব্যমূল্য যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর দিতে হবে আমাদের। কারণ প্রস্তাবিত পে-কমিশন মাত্র ১৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। এর বাইরে প্রায় ৫ কোটি কর্মজীবী মানুষ রয়েছে। পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলে বেসরকারি খাতের এ ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব হবে। আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পে-কমিশন ঘোষণা না করে উপায় ছিল না। বিদ্যমান বেতন কাঠামোতে মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে আগ্রহী ছিল না। তারা বেসরকারি খাতের বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, টেলিকম, ও বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করতে উৎসাহী হচ্ছিলেন। প্রস্তাবিত পে-কমিশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে আত্মতৃপ্তির সঙ্গে কাজ করতে পারে।’
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘পে-কমিশনের এ ধাক্কা সামলাতে সরকারের উচিৎ কঠোরভাবে মার্কেট মনিটরিং করা। যাতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।’
বাংলাদেশ গার্মেন্ট প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘প্রস্তাবিত পে-কমিশনের ফলে বেসরকারি খাতের মধ্য আয়ের লোকজনের সমস্যা হবে। তবে সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতে তেমন প্রভাব পড়বে না।’

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend