ভালুকায় ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা : মূল আসামী টঙ্গি থেকে গ্রেফতার

Mymenshingময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের লবনকোঠা এলাকার ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চুসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় মূল আসামী ও হত্যাকারী বাসের হেলপার হাফিজুর রহমান তনুকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার রাতে তাকে গাজীপুরের টঙ্গি থানার এরশাদনগর থেকে গ্রেফতার করে তাকে। পরে তার কথামতো নিহত বাচ্চুর বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দ্য’টি জব্দ করে পুলিশ। পুলিশী জিঞ্জাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তনু চারজনকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিস সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক। পুলিশী জিঞ্জাসাবাদে গ্রেফতাকৃত তনু জানিয়েছে, দেড় বছর আগে বাচ্চুকে ব্যবসার জন্য ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিল হেলপার তনু। কিন্তু সেই টাকা বেশ কয়েকদিন চাওয়ার পরও ফেরত না দেয়ায় দানা বাঁধা ক্ষোভ থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে দ্য দিয়ে প্রথমে বাচ্চুকে বাসের ভিতর খুন করে এবং পরে ঘরে গিয়ে স্ত্রী শেফালী বেগম পারুল ও তার দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
তিনি জানান, চার খুনের ঘটনায় এপর্যন্ত মূল হোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর দু’জন হলেন তার স্ত্রী হোসনা ও হোসনা’র বোনাই (বোন জামাই) রফিকুল ইসলাম। এদেরকে মোবাইল ফেনের কললিষ্ট অনুসন্ধান করে প্রথমে তনু’র স্ত্রী হোসনাকে সীড়স্টোর এলাকার বাসা থেকে এবং তার বড় বোন জামাই রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা বাজার থেকে আটক করা হয়। পরে তাদের কথামতো নিহত বাচ্চুর ঘর থেকে নিয়ে আসা টিভি ও কাপড়চোপড়সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে লবনকোঠা এলাকার বাসার সামনে রাখা বাসে ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম পারুলকে (২৫) নিজ ঘরে ধর্ষনের পর কুপিয়ে এবং দুই শিশু কন্যা জিনিয়া (৬) ও রিভাকে (২) গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিহত বাচ্চুর সহযোগী তনু। নৃশংস্য এ ঘটনা এলাকায় ব্যাক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend