গাজীপুরে বাধা দিলে সারাদেশে সমাবেশ : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে যাব। আমরা কারো পৈতৃক ভিটায় বাস করি না। অন্য অধিকার না থাকলেও জনসভার এ অধিকার আমরা যে কোনো মূল্যে প্রতিষ্ঠা করব। গাজীপুরে যেতে বাধা দিলে সারাদেশে সমাবেশ করা হবে। গাজীপুরে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সমাবেশ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নিম্ন ও উচ্চ আদালত একই ভাষায় কথা বলে; সেটা হল মুজিবীয় ভাষা। জনগণ গতকাল প্রহসনের বিচার উপভোগ করার জন্য বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় গিয়েছিল। জনগণ না থাকলে আজ হয়তো আরেকটা জানাজায় মানুষের ঢল নামত। উপস্থিত জনতা না থাকলে খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করে তাকে হত্যা করা হতো।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ যদি ছাত্রলীগের পক্ষ না নিত, তাহলে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা গুটিকাবাব হয়ে যেত। এ ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। হামলা-মামলা করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপিকে দুর্বল মনে করে নিঃশ্বেষ করে দেবে- এ কথা যদি আওয়ামী লীগ মনে করে থাকে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। বিএনপিকে নিঃশ্বেষ করা যাবে না। আপনাদের কথাবার্তা ফিটফাট থাকলেও ভেতরে সদরঘাট হয়ে গেছে। জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই। আপনারা এখন বিচ্ছিন্ন দল।
সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের জেলে দিতে পারেন; কিন্তু আপনাদের কবরে যাওয়া অনিশ্চিত নয়। দেশের প্রতি যদি ন্যূনতম ভালবাসা থাকে, তাহলে জনগণের ভালবাসা নিয়ে ক্ষমতায় থাকেন। জোর করে ক্ষতায় থাকা যায় না। আপনাদের অবশ্যই চলে যেতে হবে। এখন আপনারা সিদ্ধান্ত নিন নিরাপদে যাবেন, নাকি বিপদ মাথায় নিয়ে যাবেন। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস কলঙ্কময়, বর্তমান ইতিহাসও কালিমাময়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি বাদ দিয়ে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরেছেন। তিনি ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পান। কিন্তু ক্ষমতা তাকে ছাড়তেই হবে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবকে কেন আমি বঙ্গবন্ধু বলব। তাকে বঙ্গবন্ধু বললেতো হিটলার, মুসোলিনিকেও বঙ্গবন্ধু বলতে হবে।
দুদু শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, র্যাব ও পুলিশ সরান। পুলিশের আইজিকে সরান। আমি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপির প্রথম সারির কোনো নেতা নির্বাচন করব না। আমাদের চতুর্থ সারির নেতারা আপনাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন। দেখি আপনার, তোফায়েল, নাসিমদের জামানত থাকে কি-না?
তিনি বলেন, পুলিশ-র্যাব না থাকলে ঢাবি, গাজীপুরসহ পুরো বাংলাদেশের কোথাও ছাত্রলীগ নামের তেলাপোকা থাকতে পারে কিনা, তা দেখা যাবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।