‘বিএনপির দ্বারা আন্দোলন সম্ভব নয়’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন- বিএপির দ্বারা আর যাই হোক আন্দোলন সম্ভব নয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার হরতালের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সংবাদ না দেখলে দেশের কেউ বুঝবে না যে হরতাল পালিত হচ্ছে, এমন মন্তব্য করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন হরতালের সময় তিনি মাঠে থাকবেন। কিন্তু খালেদাতো দূরের কথা বিএনপির কোনো নেতাকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। হরতাল ডেকে এভাবে ঘরে বসে থাকলে আপনাদের (বিএনপি) লজ্জা লাগে কিনা জানিনা, কিন্তু আমাদের লজ্জা লাগে।’
বিএনপি আন্দোলনের নামে আবারও ২০১৩ সালের মতো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। তারা আবারও পেট্রোল বোমা নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় যেখানেই তাদের দেখা যাবে সেখানেই গণধোলাইয়ের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা হবে। কারণ বোমাবাজরা ছিনতাইকারী-ডাকাতের চেয়েও ভয়ংকর।’
রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের উপর হামলা কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা বলে হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে সমাবেশের ডাক দিয়ে খালেদা জিয়া নৈরাজ্য সৃষ্টির সুযোগ নিতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। সমাবেশ না করে সেখানে তারা হরতাল দিয়েছে। গাজীপুরের হরতালে ব্যর্থ হয়ে নির্লজ্জের মতো আবারও দেশের মানুষের উপর হরতাল চাপিয়ে দিয়েছে।’
বিএনপি মানে ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘গতবার নির্বাচনের সময় থেকেই বিএনপি বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এখন বিদেশীরাও বুঝে গেছে তারা শুধুমাত্র নালিশ পার্টি।’
বিএনপি-জামায়াত জোট আসলে বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গী জোট মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ২০ দলীয় জোটে এমন অনেক দল আছে যেসব দলের নেতারা আফগানিস্তান থেকে জঙ্গীবাদের ট্রেনিংপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়া এখন জঙ্গীদের, দূষ্কৃতিকারীদের নেত্রীতে পরিণত হয়েছে।’
২০১৯ সালে পরবর্তি জাতীয় নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এসব আন্দোলনের নামে বোমাবাজি বাদ দিয়ে জনগণের কাছে যান। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। জনগণের কাছে গিয়ে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। আর তা না হলে দেশের জনগণ আপনাদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।’
সভা-সমাবেশের নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য দেশের জনগণ বরদাস্ত করবে না। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি সবসময় মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ উপকমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম, গণতান্ত্রীক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, সাবেক ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।