ফরেনসিক রিপোর্টে হ্যাপির শয্যাসঙ্গী ও শরীরে তিলের সংখ্যা
মিরপুর থানার পুলিশের হাতে ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পর থেকেই একের পর এক তথ্য সামনে আসছে৷ সেই সব তথ্যের সত্যতা নিয়ে অবশ্য অনেক ক্ষেত্রেই সংশয় থাকছে৷ বিভিন্ন মিডিয়া বিভিন্নরকম ভাবে নিজেদের সূত্র কাজে লাগিয়ে ফরেন্সিক রিপোর্টের তথ্য তুলে আনছে৷
যার কোনও সরকারী সিলমোহর নেই৷ কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে অভিযোগকারিনী ঢলিউডের উঠতি অভিনেত্রী নাজনিন আখতার হ্যাপি কি বলছে? পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হ্যাপি বলেন, ‘আমি তিন পৃষ্ঠার ফরেন্সিক রিপোর্টের কপি হাতে পেয়েছি। প্রথম পৃষ্ঠায় শারীরিক সম্পর্ক একজনের সঙ্গেই হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কার সঙ্গে হয়েছে তা উল্লেখ করা নেই। এটি প্রমাণ করতে হলে রুবেলের ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। তাই আগামী ১১ জানুয়ারি রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করব আমি৷’
হ্যাপি আরও জানান, রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় তাঁর চুলের রং, শরীরের কোথায় কোথায় কতগুলি তিল আছে, রক্তের গ্রুপ ও বয়স ১৮ বছর ১০ মাস উল্লেখ আছে। শেষ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নো ফাউন্ড রিসেন্টলি সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’
তবে হ্যাপি মিডিয়ার ভূমিকায় কিছুটা অসন্তুষ্ট৷
তিনি বলেন, অনেক মিডিয়া পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না জেনেই ঢালাওভাবে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। আসল বিষয় না জেনে সংবাদ প্রকাশ করা কতটুকু নৈতিক, তা হয়তো ওই গণমাধ্যমগুলোর জানা নেই। একাধিক পুরুষের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম খবর করছে৷ কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্টের কোথাও এমন তথ্যের উল্লেখ নেই। তাই গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত খবর মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফরেনসিক রিপোর্টে হ্যাপির দৈহিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। তিন পৃষ্ঠার ফরেন্সিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, একজনের সঙ্গেই হ্যাপির দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে। তবে সেই সম্পর্ক রুবেলের সঙ্গেই হয়েছে কি না, তা প্রমাণ করতে রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষা করাতেই হবে।
রবিবার মিরপুর থানার পুলিশ অভিনেত্রী নাজনিন আখতার হ্যাপির ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী আধিকারিক এসআই মাসুদ পারভেজ ও হ্যাপি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগ হ্যাপির পূর্ণাঙ্গ ফরেন্সিক রিপোর্ট মিরপুর থানায় পাঠায়। তদন্তকারী অফিসার মাসুদ পারভেজ ছুটিতে থাকায় এসআই আল মামুন ওই দিন প্রতিবেদনের নোট প্রকাশ করেছিলেন। এবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করল মিরপুর থানা পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসার এসআই মাসুদ বলেন, ‘এখনই কোনও চার্জশিট দেওয়া হবে না। আরও অনেক বিষয় আছে, যা তদন্ত করতে হবে। আমি ছুটিতে থাকায় তদন্তকাজ পিছিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশ রয়েছে।’ তাই ৬০ দিনের মধ্যেই তিনি আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে পারবেন বলে জানান।