ঝিনাইগাতীতে অবৈধ ভাবে জমি জবর দখলের পায়তারা
শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামের এক মহাজের পরিবারের দখলীয় জমি জোর পূর্বক ভাবে জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে একই গ্রামের প্রভাবশালী ভূমি খেকো শুক্কুর আলী গংরা। সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গান্ধিগাঁও গ্রামের মৃত জয়নাল শেখের ছেলে গফুর আলী ফকির বিগত ২৬/১০/১৯৬৬ সালে গান্ধিগাঁও মৌজার ২ নং খতিয়ানের ১৫৩ নং দাগের মধ্যে থেকে কার্ড নং ৫৭৮(ং) এর অনুকূলে ১ একর জমি বর্গা কবুলিয়ত মূলে প্রাপ্ত হইয়া স্বত্ববান মালিক হিসেবে বসত বাড়ী নির্মাণ করে দীর্ঘকাল ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্ত জমির মালিক গফুর আলী ফকির বয়সের ভারে অসুস্থ্য বিধায় ভূমি খেকো শুক্কুর আলী গংদের নজর পড়ে মহাজের পরিবারের ওই এক একর জমির উপর। সেই প্রেক্ষিতে গত ২২/৬/২০১০ইং তারিখে শুক্কুর আলী গংরা ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা চালাতে গেলে গফুর আলীর পরিবার তাদেরকে বাধা দিতে গেলে উল্টো শুক্কুর আলী গফুর পরিবারের গফুর সহ ১১ জনকে বিবাদী করে ৪৪৭/৩২৩/৩৭৯/৪২৭/৫০৬(১১)/৩৪ ধারা মোতাবেক আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। কিন্ত বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটিকে আমলে নিয়ে গত ১৮/১১/২০১৪ ইং তারিখে ওই মামলার অভিযুক্ত ১১ জন আসামীকে ফেীঃ কাঃ বিঃ ২৪৮ ধারা মতে খালাস দেন এবং বাদী পক্ষকে উক্ত জমিতে কোন ধরণের জবর দখলের পায়তারা না করার জন্যেও নির্দেশ প্রদান করেন। এর পর কিছুদিন ওই কুচক্র মহলটি নিরব থাকলেও পূনরায় সক্রীয় হয়ে উঠে উক্ত জমিটি দখলে নেওয়ার নেশায়। ইতিপূর্বেও ওই চক্রটি এ মহাজের পরিবারকে হেনস্তা করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ভূকি খেকো শুক্কুর আলীর কড়াল গ্রাস থেকে জমিটিকে রক্ষা করার জন্য ওই মহাজের পরিবারটি বার বার এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের কাছে ধর্ণা দিয়েও তেমন কোন ফল না পেয়ে অবশেষে আদালতের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা ও নিজের জমিকে রক্ষার জন্য মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন বৃদ্ধ গফুর আলী ফকিরের ছেলে বাবর আলী। এলাকার সাধারণ মানুষের মনে করেন, ভূমি খেকো শুক্কুর আলী এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের কথা না শুনুক, আদালতের নির্দেশ অমান্য করার সাহস পায় কোথা থেকে ! কাজেই মহাজের পরিবারের মাথা গুজার ঠাঁইটিকে রক্ষার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক জমি জবর দখলকারী শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে শান্তি প্রিয় গান্ধিগাও গ্রামে ঘটে যেতে পারে অপ্রীতিকর যে কোন ঘটনা।