পরীক্ষা না দিয়েও জিপিএ-৫

Prymariজেলার হাতীবান্ধার ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন সাকিব পিএসসি পরীক্ষা (রোল ২৪৩৫) না দিয়েও জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশিত ফলের পর বিষয়টি জানাজানি হলে হাতীবান্ধায় তা টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়।
এদিকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র ও প্রতিবেশীরা প্রায় তিন মাস আগে সাকিব তার বাবা-মার সঙ্গে ঢাকায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপরও সেই সাকিব কি করে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করল- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর মিলছে না উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে।
অন্যদিকে ওই একই স্কুলের শিক্ষার্থী মিম মানতাসা যার পিএসসি পরীক্ষার রোল-২৪৯৪।

সে সব বিষয়ে অংশ নিলেও রহস্যজনক কারণে তাকে বাংলা পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো হয়। ফলে ফেল দেখানো হয়েছে শিশুটিকে। এ ছাত্রীটি নিজের ফেল করার বিষয়টি জেনে মাটিতে গড়াগড়ি করে কাঁদতে থাকে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরনবী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে মেয়েটির কান্নাকাটি দেখে উপস্থিত শিক্ষকরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। শিশু মিমের বাবা-মা বার বার জানতে চাইছে তার মেয়ের ফেলের কারণ। কিন্তু শিক্ষকরা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ফল পুনঃযাচাইয়ের আবেদন করা হয়েছে।’
সেই সঙ্গে তার স্কুলের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন সাকিব পরীক্ষায় অংশ না নিলেও তার নামে জিপিএ-৫ পাওয়ার ফল এসেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের ভাষ্যমতে, পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও পাসের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও এর দায়দায়িত্ব কেন্দ্র সচিব বা সেখানে দায়িত্বরতদের।
হাতীবান্ধার পিএসসি পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখে নম্বর বসিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষকরা। তাই কোথাও ভুল হলে তা যাচাই করে সংশোধন করা হবে বলে দাবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাছ আলী ভুঁইয়ার।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাছ আলী ভুইঁয়া জানান, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। আর সেই ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা তিনি করবেন বলে নিশ্চিত করেন।’

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend