পরীক্ষা না দিয়েই জিপিএ ৫ পাওয়া সেই সাকিবের ফল বাতিল
পরীক্ষা না দিয়েই পিএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার হাতীবান্ধা ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদ ইসলাম সাকিবের ফল বাতিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মঙ্গলবার এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর জেলাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাস আলী ভূঁইয়াকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়েছে লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নবেজ উদ্দিন সরকার।
এদিকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছাড়া সাজ্জাদ হোসেন সাকিবের পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাকিবের বাবা হাচেন আলী ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর জিরানিবাজার এলাকায় বসবাস করছেন। সেখানেই তিনি সাকিবকে গত ১৫/১৬ দিন আগে স্থানীয় একটি ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন।
সাকিবের বাবা হাচেন আলী মোবাইল ফোনে জানান, ‘আমার ছেলে হাতীবান্ধায় পিএসসি সমাপনী পরীক্ষা দেয়নি। গত কোরবানির ঈদের পর আমি পরিবারসহ ঢাকার জয়দেবপুর জিরানীবাজার এলাকায় চলে এসেছি। এখানে প্রায় ১৬-১৭ দিন আগে ব্র্যাক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে সাকিবকে আবারও ভর্তি করে দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘হাতীবান্ধার ওই স্কুলের শিক্ষকের কাছে এবং পেপার পড়ে জানতে পারি সাকিব পরীক্ষা না দেওয়ার পরও নাকি জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছে। অভাবের তাড়ণায় ঢাকায় থাকার কারণে ছেলেকে পরীক্ষা দেওয়াতে পারিনি। আজ পরীক্ষা দিলে হয়তো সাকিব জিপিএ ৫ পেত।’
সাজ্জাদ ইসলাম সাকিব তার বাবার মোবাইল ফোনে বলে, ‘আমি পরীক্ষা দেইনি তাহলে পাস করলাম কিভাবে? আমি তো এখন ঢাকার জয়দেবপুরের ব্র্যাক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি।’
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাস আলী ভূঁইয়াকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন ‘হাতীবান্ধা ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন সাকিবের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে।’ তিনি জানান, এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাস আলী ভূঁইয়াকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।