নতুন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস যেভাবে ব্যবহার শুরু করবেন
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইস চালানোর জন্য কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এ লেখায় থাকছে সে ধরনের কয়েকটি পরামর্শ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সিনেট1।
১. পাওয়ার অন করুন, সেটআপ করুন
যে কোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসই প্রথমবার চালু করার পর সেটআপ উইজার্ডের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এখানে আপনার ডিভাইসটির ভাষা, ওয়াইফাই বা ডেটা নেটওয়ার্ক ইত্যাদি বিষয় ঠিকঠাক করতে হয়। এ ছাড়াও গুগলের অ্যাকাউন্ট থাকা এবং তাতে লগইন করে নেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কোনো বিষয় সম্বন্ধে সমস্যা থাকলে তা পরে ঠিকঠাক করে নিলেও হবে।
২. আপডেট চেক করুন
আপনার কাছে আসা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটিতে যে সর্বশেষ ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম থাকবে, এমন কোনো কথা নেই। তাই সফটওয়্যার আপডেট চেক করে নেওয়াই ভালো।
এজন্য যা করতে হবে- Settings > About Phone (বা Tablet or Device) > Software Update-এ যেতে হবে। এখানেই আপনি আপডেটের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এরপর আরেকটি বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। সেটা হলো অ্যাপগুলোর আপডেট। আপনার কোনো অ্যাপ যদি আপডেট করার থাকে তাহলে তা খুঁজে বের করুন। এজন্য প্লে স্টোর ওপেন করুন। এরপর স্ক্রিনের উপরের বামপাশের মেনু থেকে মাই অ্যাপস খুঁজে নিন। এখান থেকেই আপনি অ্যাপগুলো এবং তার আপডেট অবস্থা জানতে পারবেন।
৩. নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসকে নিরাপদ রাখাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এজন্য পাসওয়ার্ড, পিন ও প্যাটার্ন লক করতে পারেন। এ ছাড়াও আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার এনাবল্ড করে নিন। এতে আপনার ডিভাইসটি হারালেও তা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
স্ক্রিন লক সেটআপ করার জন্য Settings > Security > Screen Lock-এ যান। এরপর আপনার যে ধরনের লক পছন্দ, তা নির্ধারণ করুন।
আধুনিক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে রয়েছে বিল্টইন লোকেশন ট্র্যাকিং টুল। এতে ডিভাইসটি হারালেও তা খুঁজে বের করা সহজ। স্বাভাবিকভাবেই এটি চালু হওয়ার কথা। তার পরেও গুগল সেটিংস অ্যাপ (ফোন সেটিংস নয়) থেকে সিলেক্টিং সিকিউরিটি-এ গিয়ে দেখে নিতে পারেন।
৪. ব্যাকআপ ও ট্রান্সফার ফটো
আপনি যদি আগেই একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করেন তাহলে সে ডিভাইসটি থেকে তথ্যগুলো নতুন ডিভাইসে সহজেই নিতে পারবেন। এজন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমচালিত কম্পিউটারে ইউএসবি কেবল ব্যবহার করে ডিভাইসটি সংযুক্ত করতে পারেন। এরপর কম্পিউটার থেকে সে ডিভাইসের মেমোরি দেখতে পাবেন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো কম্পিউটারে সেভ করে নিয়ে তারপর একইভাবে তা আপনার নতুন ডিভাইসে কপি করতে পারেন।
৫. ক্লাউড স্টোরেজ
অ্যান্ড্রয়েডের ডিভাইসের তথ্যগুলোর জন্য ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার খুবই সহজ এবং নির্ভরযোগ্য। এজন্য বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে গুগলের ফটো ক্লাউড সার্ভিস। এখানে ফটো অ্যাপের উপরের ডানপাশের তিনটি ডটে ট্যাপ করে সেটিংস-এ যেতে হবে। এরপর অটো ব্যাকআপ-এ ক্লিক করলেই হবে। এ ছাড়াও আপনি ড্রপবক্স, বক্স, মাইক্রোসফট ওয়ানড্রাইভ কিংবা কপি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই অটোমেটিক ফটো ব্যাকআপ সার্ভিস রয়েছে।
৬. গুগল নাও
গুগলের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফিচারের একটি হলো গুগল নাও। এতে বিল্ট-ইন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছে। এতে আবহাওয়া, নিয়ারবাই ইভেন্টস, স্পোর্টস স্কোর ইত্যাদি রয়েছে।
৭. অতিরিক্ত একটি অ্যাকাউন্ট করুন
গুগলের একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড সেবাই পাবেন। এ ছাড়াও বাড়তি ইমেইল অ্যাকাউন্ট এতে যোগ করতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেটআপ ও ক্লাউড স্টোরেজ সেটআপও করতে পারেন ভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এজন্য Settings > Accounts > Add account-এ যান। এরপর অ্যাকাউন্ট যোগ করুন।
৮. কাস্টমাইজ করুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য একে ইচ্ছেমতো কাস্টমাইজ করুন। এজন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করুন এবং ওয়ালপেপার পছন্দ করুন। প্রয়োজনে ফন্ট পরিবর্তন করুন এবং নিজের পছন্দমতো অ্যাপগুলো সাজিয়ে নিন। এর অধিকাংশ অপশনই পাবেন ডিসপ্লে ও পার্সোনালাইজ বিভাগে। – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2014/12/31/169899#sthash.MtfkVlod.dpuf