নওয়াপাড়ায় সমাবেশ শেষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ
যশোরের নওয়াপাড়া বাজারে বিক্ষুব্ধ লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। উত্তেজিত লোকজন ওইসময় রাস্তার ধারে থাকা পোস্টার ছিড়ে ফেলে ও তাতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বিকেলে নওয়াপাড়ার নূরবাগ মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা ওলিয়ার হত্যার বিচার বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মোল্লা বলেন, ‘ওলিয়ার হত্যার নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রণজিত রায়ের মদদপুষ্ট শ্রমিকলীগের আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিন অধিকারী ব্যাচা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সুশান্ত দাস শান্ত ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী সুকুমার রায়।’
তিনি হত্যা মামলায় আটক নড়াইলের আলামিন ওরফে আলা ওরফে সুমনের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাচা, শান্ত ও সুকুমার সন্ত্রাসী প্রসেনের চরমপন্থী দল নিয়ন্ত্রণ করতেন। তারা মাদক, ঘের, ভেজাল সারের কারবারিদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা থেকে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করতেন।’ ওলিয়ার এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় চরমপন্থী প্রসেন বাহিনীকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে সমাবেশে তিনি দাবি করেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতা সুকুমার, শান্ত, ব্যাচা ও এমপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা রাস্তার পাশে থাকা এদের পোস্টার ছিড়ে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর নওয়াপাড়া স্টেশন বাজারে অবস্থিত রবিন অধিকারী ব্যাচার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অধিকারী ট্রেডার্স, সুশান্ত দাস শান্তর প্রতিষ্ঠান শান্ত দাস ট্রেডার্স ও দীলিপ সাহার প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভয়নগর থানার ওসি ছয়ের উদ্দীন আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনার পরপরই সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভয়নগর পুলিশের সঙ্গে সেইসময় খুলনামুখি পুলিশও তাদের সঙ্গে ছিল।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর যশোর আগমন উপলক্ষে খুলনা থেকে পুলিশ যশোরে গিয়েছিল। সেই পুলিশ খুলনা যাওয়ার পথে এই পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে।