বলিউড ছিল রোমান্সে ভরপুর
বলিউডের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের বড় অংশ রোমান্স কেন্দ্রিক। হলিউডের চেয়ে বলিউডের মুভিগুলো আবেগ-অনুভূতি ও রোমান্সে আলাদা গড়নের। তাই তো সারাবিশ্বে বলিউডপ্রেমীর ছড়াছড়ি। রোমান্সপ্রিয় টিনসেল ভক্তরা নিশ্চয়ই ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রোমান্টিক চলচ্চিত্রগুলোকে নাম্বার দিয়ে ফেলেছেন। তারপরও আলোচিত দশ রোমান্টিক মুভির দিকে এক নজরে চোখ বুলিয়ে আসা যাক।
ইয়ারিয়া : বছরের শুরুতেই তরতাজা রোমান্স নিয়ে আসে ‘ইয়ারিয়া’।
প্রথম শীতের কুয়াশায় যদি এক চুমুক ঠোঁট ভিজিয়ে নিতে চান তবে আপনি এ চলচ্চিত্রটি পছন্দ করবেন। কলেজ জীবনে একঝাঁক তরুণের খুনসুঁটি ও তাদের মধ্যে এক জোড়া প্রেমিক পায়রার প্রেমকাহিনী এটি। নিঃসন্দেহে বছরের সেরা রোমান্টিক প্রেমকাহিনীর শীর্ষে থাকবে।
টু স্টেটস : যারা কখনো প্রেম করেননি তাদের জন্যই ‘টু স্টেটস’।
গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনি প্রেমে পড়তে বাধ্য। আপাতত মুভির নায়ক-নায়িকার কথা বলা যাক। এ মুভিতে পাঞ্জাবী ছেলে কৃষ (অর্জুন কাপুর) ও তামিল কন্যা অনন্যা (আলিয়া ভাট) পড়াশোনা করতে এসে প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করতে চান। কিন্তু ভিলেন হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ‘যখন মিয়া বিবি রাজি তো কী করবে কাজী!’ অর্জুন ও আলিয়ার দারুণ রোমান্স নিশ্চিতভাবে আপনার সময়টাকে রোমান্টিকতায় ভরিয়ে দেবে।
হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া : রোমান্টিক মুভি লাভারদের জন্য পয়সা ও সময় উসুল মুভি হতে পারে করণ জোহরের ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’। এ মুভিতে যেমন বিন্দাস হাম্পটি (বরুণ ধাওয়ান) তেমনি কুল তার দুলহানিয়া কাবিয়া (আলিয়া ভাট)।
কেমন হয় যখন একটি মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরও বেড়াতে গিয়ে অন্য ছেলের প্রেমে পড়ে। দুই দিনের পরিচয় হওয়া ছেলেটিও তাকে মনে-প্রাণে ভালবাসে। হ্যাঁ, এমনি এক প্রেমকাহিনীতে অভিনয় করেছেন আলিয়া ও বরুণ। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে প্রেমেরই জয় হয়। মুভিটি সেরা দশ রোমান্টিক মুভির তালিকায় তো থাকারই কথা, তাই না?
হাসি তো ফাঁসি : ৭ ফেব্রুয়ারি রিলিজ হয় রোমান্টিক কমেডি ‘হাসি তো ফাঁসি’।
পরিণীতি চোপড়া ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার অবুঝ প্রেম দর্শকদের ভীষণ ভাল লাগে। এ সিনেমায় চুলবুলি পরিণীতি (মিতা) ও সবসময় পেরেশোন প্রেমিক সিদ্ধার্থের (নিখিল) প্রেমকাহিনী দুই ঘণ্টার জন্য আপনাকে নিয়ে যাবে খুশীর দুনিয়ায়। তাই বছরের সেরা রোমান্টিক সিনেমার তালিকায় এর অবস্থান একেবারেই নিশ্চিত।
হিরোপান্তি : হিরোপান্তি মানে হল দাদাগিরি। এ মুভিতে অভিষেক হয় জ্যাকি শ্রফের ছেলে টারইগার শ্রফের। আর নায়িকার ভূমিকায় ছিল নবাগতা কৃতি স্যানন। একশত ভাগ খাঁটি রোমান্টিক ঘরানার এ মুভিটি দেখলে বোঝা যায় ভালবাসার জন্য কতটা দাদাগিরি করতে পারে এক পাগল প্রেমিক।
মে তেরা হিরো : রোমান্টিক কমেডি লাভারদের জন্য ‘মে তেরা হিরো’ মুভিটি এক্কেবারে পারফেক্ট। ৪ এপ্রিল রিলিজ হয় বরুণ ধাওয়ান ও ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ অভিনীত এ মুভিটি। একে-অপরকে ভালবাসে বরুণ ও ইলিয়ানা, কিন্তু থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার হয়ে আসে নার্গিস ফাখরি। তাদের পিছুপিছু আসে পাগলাটে মেয়ের বাবা ও প্রেমে দিওয়ানা এক মাস্তান।
দাওয়াত-ই-ইশক : ২০১৪ সালের সুস্বাদু প্রেমের সিনেমার তকমা পেতে পারে পরিণীতি চোপড়া ও সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের ‘দাওয়াত-ই-ইশক’। কপটতার ছলে কখন যে সত্যি সত্যিই নিজের জীবনে প্রেমের দাওয়াত পান পরিণীতি টের পান না। অবশেষে কবুল করেন প্রেমের দাওয়াত। আদিত্য চোপড়ার প্রযোজনায় ও হাবিব ফয়সালের পরিচালনায় রোমান্টিক এ মুভিটি ব্যবসা করেছে দারুণ।
শাদি কি সাইট-ইফেক্টস : বিয়ে পরবর্তী রোমান্স জীবন নিয়ে জানতে চাইলে দেখতে পারেন ফেব্রুয়ারিতে রিলিজ পাওয়া ‘শাদি কি সাইড ইফেক্টস’।
বিয়ের পরে রোমান্স নাকি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এ মুভিটি আপনার বিবাহত্তোর জীবনের রোমান্স ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে ক্ষণিকের জন্য হলেও নিয়ে যাবে ভরপুর রোমান্সের দুনিয়ায়। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান ও ফারহান আখতার।
বেওকুফিয়া : ১৪ মার্চ মুক্তি পায় ‘বেওকুফিয়া’। এ চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো সোনম কাপুর ও আয়ুষ্মান খুরানাকে প্রেম করতে দেখা যায়। বেকার যুবক আয়ুষ্মান বড়লোকের সুন্দরী মেয়ে সোনমের প্রেমে পড়ে, মেয়ের বাবা ঋষি কাপুর মেনে নেয় না। তারপর প্রেমিকার বাবার মন জয় করেই ভালবাসা খুঁজে পায় তার ঠিকানা। এমন একটি প্রেমকাহিনী মিস করা মানেই বেওকুফি।
হ্যাপি এন্ডডিং : বছরের শেষে রোমান্সের শুভবার্তা নিয়ে আসে সাইফ আলী খান ওইলিয়ানা ডিক্রুজের প্রেমকাহিনী ‘হ্যাপি এন্ডডিং’।
প্রেমে সিরিয়াস নয় এমন দুই লাভবার্ড মনে করেন ‘আই লাভ ইউ’ বলার পর আর নতুন কিছুই থাকে না। তাই বিয়ে কিংবা প্রেম কোনটাতেই বিশ্বাস নেই তাদের। কিন্তু নিজের অজান্তেই কখন যে মন হারিয়ে ফেলেন তারাও টের পান না। তবে প্রেমে পড়ার পরও দূরে থাকেন তারা। অবশেষে মনের টানে সাড়া দিয়ে হয় প্রেমের ‘হ্যাপি এন্ডডিং’।