শুক্রবারের সমাবেশ স্থগিত কেক কেটে জন্মদিন পালন ছাত্রদলের
কেক কেটে সংগঠনের ৩৬তম জন্মদিন পালন করল বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটেন সাবেক ছাত্রদল সভাপতি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা।
তবে পল্টন থানায় গাড়ি পোড়ানো মামলার কারণে জন্মদিনের কেক কাটা অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ অনেক নেতারা। একই কারণে অনুপস্থিত ছিলেন— বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, মহানগর সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ ৪৩ নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে গাড়ি পোড়ানো মামলার কারণে ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবারের ছাত্র সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য জানান।
আকরাম বলেন, ‘৫ জানুয়ারি রাজধানীতে গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচিতে ব্যাপক লোক সমাগম হবে। ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি অনেক বড় কর্মসূচি। একসঙ্গে দুটি কর্মসূচি পালন করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই শুক্রবার ছাত্রদলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছাত্র সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।’
আকরাম জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ মাহফিল ও ফাতেহা পাঠ করা হবে।
ছাত্রদল সূত্র জানায়, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশিরভাগ ছাত্রদল নেতাদের নামে মামলা রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে। ২ জানুয়ারি শুক্রবার সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ থেকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। তাই আগামী ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে মূল দলের ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচির পাশাপাশি ছাত্র নেতাদের নামে মামলার বিষয়টিও ছাত্র সমাবেশ স্থগিত করার কারণ।
এ দিকে, ছাত্রদলের জন্মদিন ও সংগঠনের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করীম শাহীন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ্জামান তারেক, আলমগীর হোসেন সোহান, ফয়সাল আহমেদ সজল, নাজমুল হাসান, মামুন বিল্লাহ, আব্দুল ওয়াহাব, নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ, ইখতিয়ার রহমান কবির, আবদুল হান্নান মিয়া, খলিলুর রহমান খলিল, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জয়দেব জয়, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনিরা আক্তার রিক্তা, নিহার হোসেন ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মিয়া মো. রাসেল, আবদুর রহিম হাওলাদার সেতু, মিজানুর রহমান সোহাগ, আবুল হাসান, নূরল হুদা বাবু, আবদুল করিম সরকার, মফিজুর রহমান আশিক, বায়েজিদ আরেফিন, ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, আজিজুর রহমান আজিজ, শাহ নাসির উদ্দিন রুম্মন, মামুন হোসেন ভুইয়া, শহীদুল ইসলাম সোহেল, সামসুল আলম রানা, কাজী মোকতার হোসেন, মাহফুজুর রহমান, আবু বক্কর সিদ্দীকি পাভেল, মির্জা ইয়াসিন আলী, মুসফিকুর রহমান লেলিন, শওকত আরা উর্মি, শাহিনুর নার্গিস, বি এম নাজিম মাহমুদ, মেহবুব মাসুম শান্ত, এস এম কবির, শফিকুল ইসলাম সফিক, গোলাম মোস্তফা, হাসানুল বান্না, হাবিবুর রহমান ডালিম সহ-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোজাহিদুল ইসলাম, এম জেড আই জহির, ইসমাইল খান শাহিন, নাসিমা আক্তার কেয়া, জসীম উদ্দিন, রবিউল ইসলাম রবি, আবুল কালাম আজাদ টিটু, মনজুর মোর্শেদ পলাশ, রাজিব আহসান পাপ্পু, নোমান হাসনাত, শফিকুল ইসলাম মিঠু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ান বাবু, আবু সাঈদ, মিজানুর রহমান সুমন, গোলাম আজম সৈকত, নাছির উদ্দিন শাওন, সাইদুর রহমান রয়েল, আনোয়ার মামুন ভূইয়া, ইলতুৎমিশ সওদাগর, নুরুল হুদা ভুইয়া, শাহীনুর বেগম সাগর, আমীর আমজাদ মুন্না, আশরাফ ফারুকী হীরা, নাদিয়া পাঠান পাপন, সঞ্জয় দে রিপন, শাহীন আখন্দ, জাকির হোসেন, নূরে আলম জাবেদ, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম হিমেল, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রাশিদুর ইসলাম রিপন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহসানুল হক শুভ্র, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ, যোগাযোগ সম্পাদক গাজী সুলতান জুয়েল, পাঠাগার সম্পাদক মেহেদী হাসান, মানবাধিকার সম্পাদক আব্দুল আজিজ রুমি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক মো. ইয়াকুব রাজু, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না, ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রাজ প্রমুখ।