রাবার কারখানায় নারী কর্মীদের নগ্ন করে তল্লাশি
শৌচালয়ে পাওয়া গিয়েছিল ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন। তার জেরে কারখানার সমস্ত মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে তল্লাশি করা হল। এ চূড়ান্ত অনৈতিক ঘটনার জেরে সংস্থার তিন উচ্চপদস্থ কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন বাকি নারী কর্মীরা।
অস্ত্রোপচারে প্রয়োজনীয় দস্তানা তৈরির বরাত নিয়েছিল ভারতের কোচির সংস্থা আসমা রাবার প্রাইভেট লিমিটেড। গত ১০ ডিসেম্বর কারখানার শৌচালয় থেকে আবিষ্কৃত হয় ব্যবহার করা একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন। বাথরুম নোংরা করার জেরে সংস্থায় তোলপাড় শুরু হয়। ‘দোষী’ ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে অভিনব উপায় ঠাউরান কারখানার সুপারভাইজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার ও সাব স্টাফ পদে কর্মরত তিন নারী কর্মচারী। ঠিক হয়, কারখানার সমস্ত নারী কর্মীদের জামা-কাপড় খুলে পরীক্ষা করা হবে। উদ্দেশ্য, শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে শাস্তি বিধান। আপত্তি জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। ফলে সংস্থায় কর্মরত ২৫-৫০ বছর বয়সী সব নারীকেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে পোশাক উন্মোচন করতে হয়।
ঘটনার জেরে কারখানার নারী কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তবে তৎক্ষণাৎ আইনি ব্যবস্থা না নিলেও মাসের শেষ ভাগে আসমা রাবার-এর ওই তিন মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপমানিত কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার কোচি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গড়েছেন কোচিন স্পেশ্যাল ইকনমিক জোন-এর ডেভেলপমেন্ট কমিশনার। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তিন অভিযুক্ত কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে ওই সংস্থা। তবে তা সত্ত্বেও তাঁদের ‘অপরাধী’ বলে চিহ্নিত করতে নারাজ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ রহিম।
তাঁর বক্তব্য, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের ‘দোষী’ বলা অনুচিত হবে। আপাতত পরিবেশ স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত কারখানার ওই বিভাগটির কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।