খোলসা নয় বিএনপির অবরোধ
২০ দলীয় জোট নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে পুলিশি বাধার কারণে বের হতে না পেরে গণমাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কর্মসূচি চলছে, পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধ চলবে।’ এই কর্মসূচি কীভাবে, কবে থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি খালেদা জিয়া।
সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নে বিদ্ধ হয়ে তিনি এক সময় বলেন, আজ আমাদের কালোপতাকা কর্মসূচি ছিল। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় নাই। এ জন্য পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে। এরপর সময় সুযোগ হলে সমাবেশের কর্মসূচিও দেওয়া হবে।
অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকরা স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো কিছু খোলসা না করেই কার্যালয়ের ভেতরে চলে যান তিনি। আগামী শুক্রবার থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা। সারা দেশের মতো বিদেশ থেকেও মুসল্লিরা সেখানে যোগ দিতে আসবেন। এ সময় ইজতেমার কারণে অবরোধ কর্মসূচিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা, সে বিষয়েও কিছু বলেননি তিনি।
খালেদা জিয়া ‘অবরোধ চলবে’বলে ঘোষণা দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। খালেদার ঘোষণার পরে অন্যকোনো নেতাকর্মী এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্যও প্রদান করেনি এখন পর্যন্ত।
এদিকে বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব কারারুদ্ধ রুহুল কবীর রিজভীর নামে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে একটি অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে একটি এসএমএস পাঠানো হয়েছে। যার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যোগাযোগ করে বিএনপির কোনো নেতাকে পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যেখানে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে সরকারের বিরুদ্ধে দেশকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ এনেছেন। সেখানে তিনি নিজে আবার অবরোধের দায় নেবেন কিনা?