অবরোধের বিরুদ্ধে আ’লীগের অবস্থান
সারাদেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনস্বার্থে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারাদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেবেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা নাশকতাকে অবরোধ করব। সহিংসতাকে প্রতিরোধ করব। ককটেল ও পেট্রোল বোমা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেসামাল খালেদা জিয়া দেশবাসীকে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করার অশুভ লক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ঘোষণা করেছে যা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘অবরোধের নামে দেশের মানুষকে অবরুদ্ধ করে সন্ত্রাসকে পুঁজি করে জনগণের জনগণের মন জয় করা যায় না। প্রতিহিংসার অসুস্থ রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে তাকে জনগণের কাছে যেতে হবে। খালেদা জিয়াকে তার ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচিকে প্রত্যাখ্যান করাও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।’
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর বিশ্ব ইশতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার তথাকথিত এই অবরোধ কর্মসূচি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ব্যথিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে প্রমাণিত হল খালেদা জিয়ার ধর্মীয় বিশ্বাস একেবারেই ঠুনকো।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরাজিত সেনাপতির প্রতিহিংসার ভূত বেগম খালেদা জিয়ার উপর ভর করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে অবরোধের নাটক সাজিয়ে দেশবাসীকে ভোগান্তির মধ্যে নিপতিত করেছে।’
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা ছিল খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুল। এ ভুলের কারণে তিনি এবং তার দল সংসদের বাইরে। খালেদা জিয়ার ভুলের খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে?’
খালেদা যত দিন চাইবেন তত দিন নিরাপত্তা
খালেদা জিয়াকে কত দিন নিরাপত্তা দেওয়া হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যত দিন চাইবেন তাকে তত দিন নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আহমদ হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আব্দুল মান্নান খান, ত্রান বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওসার, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।