অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে সক্ষম সেনাবাহিনী: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ১৯৭১ সালে অপামর মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে বাঙ্গালী অফিসার ও সেনা সদস্যগণ একাত্ম হয়ে পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
যুদ্ধে তাদের অনেকে শাহাদত বরণ করেন। দেশ মাতৃকার জন্য তাদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আজও অম্লান। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সেই সব শহীদের আত্মত্যাগ দেশ রক্ষার কাজে আপনাদেরকে আরও উদ্বুদ্ধ করবে এবং দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় যেকোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে উৎসাহ যোগাবে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রিয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম।’
সোমবার বিকেলে বগুড়া সেনানিবাসে ১১ পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে দরবার হলে উপস্থিত সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্য তিনি এ সব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশের ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিসহ হাজারও সীমাবদ্ধতার মাঝেও বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে হাত দেন। একটি দক্ষ ও যোগ্য সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপযুক্ত নেতৃত্ব তৈরির জন্য তিনি ১৯৭৪ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার পূর্বের মেয়াদকালে বিভিন্ন রকম উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাছাড়া সেনাবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব দ্য পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং, ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হয়।