রংপুরে পুলিশের টিয়ারশেলে বিএনপি-জামায়াতের ১০ কর্মী আহত
একদিকে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আর অপরদিকে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পুরো রংপুর নগরী। সকাল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটভুক্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপে বিএনপি-জামায়াতের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন।
নগরীর সিটি বাজার এলাকায় সোমবার দুপুরে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে নেতাকর্মীরা লাঠি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান সামু বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে, রংপুরের মিঠাপুকুরে বিএনপি-জামায়াত জোট বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা চালালে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপে বিএনপি-জামায়াতের ১০ কর্মী আহত হয়েছেন।
তবে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বিএনপি-জামায়াত জোটের কেউই আহত হননি বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে নগরীতে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ পালন উপলক্ষে আনন্দ র্যালি ও সমাবেশ করেছে। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাচারী বাজার এলাকায় সমাবেশ করেছে।
সেখানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সফিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বক্তব্য রাখেন।
রংপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন, রংপুরে যেকোনো নাশকতা কিংবা অরাজকতা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া নগরীতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।