প্রেস ক্লাবে শহীদদের নামফলক ভাঙচুরের অভিযোগ
পেশাজীবী পরিষদের কর্মসূচির পর স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে প্রেস ক্লাবের মূল ভবনের প্রবেশ পথে শহীদ সাংবাদিকদের নাম-সংবলিত ফলক ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। এ সময় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ইকবাল সোবহান বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় সোমবার সকাল থেকে আমাদের সমাবেশ চলছিল। এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার সমাবেশ। অপরদিকে পেশাজীবীদের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব যোগ দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেশাজীবীদের কর্মসূচির পর স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেয় এবং আমাদের সমাবেশের ওপর হামলার চেষ্টা করে।’
প্রেস ক্লাবকে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার দাবিও জানান সোবহান চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘শহীদদের নাম-সংবলিত ফলকে হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা, ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষকে বিশেষ দলের চেম্বার হিসেবে ব্যবহার না করা এবং পেশাজীবী সাংবাদিকদের দ্রুত সদস্যপদ দেওয়ার দাবি জানান।
প্রেস ক্লাবকে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হলে বিএফইউজে ও ডিইউজে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি করেন বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান মিলন প্রমুখ।