সৈকতের পথচলা

বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেট কিংবা জাতীয় দল- দু’জায়গাতেই পেস বোলিং অলরাউন্ডার চোখে পড়া দুর্লভ। তার মধ্যে আলো হয়ে জ্বলছেন ওরা দুইজন। জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে সৌম্য সরকারের (ডানে) স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আর দলে ঠোকার লড়াইয়ে আছেন সৈকত আলী (বাঁয়ে)
বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেট কিংবা জাতীয় দল- দু’জায়গাতেই পেস বোলিং অলরাউন্ডার চোখে পড়া দুর্লভ। তার মধ্যে আলো হয়ে জ্বলছেন ওরা দুইজন। জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে সৌম্য সরকারের (ডানে) স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আর দলে ঠোকার লড়াইয়ে আছেন সৈকত আলী (বাঁয়ে)

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের পরিচিত মুখ সৈকত আলী। রোববার প্রাইম ব্যাংকের হয়ে শেষ ম্যাচে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ী করে মাঠ ছেড়েছেন সৈকত। লিগের সেরা দশ স্কোরের মধ্যেও আছেন তিনি। ১৬ ম্যাচে ৫০৮ রান করে লিগের অষ্টম সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। তাতে অবশ্য সন্তুষ্টি ভর করেনি তার চোখে-মুখে। বরং কিছুটা আফসোসই ঝড়লো।

‘‘ভালো করেও ইনিংসগুলোকে বড় করতে পারিনি। একটা ম্যাচে ৯০ রান করে আউট হয়েছি। ইনিংসটাকে বড় করা যেত। সে জন্য কিছুটা আফসোস হচ্ছে।’’

তবে লিগের শেষ ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে ৫৮ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলতে পেরে সন্তুষ্ট সৈকত।

‘‘প্রতিটা ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষেই দল গড়ে। আর খেলোয়াড়দের লক্ষ্য থাকে দলকে চ্যাম্পিয়ন করানো। তাই খুব ভালো লাগছে।’’

গেল বারও প্রাইম ব্যাংকের হয়ে খেলেছেন সৈকত। সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তার দল। তবে ব্যক্তিগত অর্জনে সামনের কাতারেই ছিলেন তিনি। হয়েছিলেন লিগের চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোরার। আর দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। সেবার করেছিলেন ৫৮১ রান।

সৈকত আলী প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেন বিকেএসপির হয়ে। এরপর খেলেছেন সিসিএস, ভিক্টোরিয়া ও সর্বশেষ দু’বার প্রাইম ব্যাংকের হয়ে।

বিকেএসপি থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার ক্লাব ক্রিকেটের আগে অনুর্ধ্ধ-১৯ দলের হয়ে দু’বার বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড অনুর্ধ-১৯ দলের বিপক্ষে অর্ধশতক রয়েছে তার। একই দলের বিপক্ষে ১১ রানে ৩ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে এই পেসারের।

বল হাতে সৈকতের সামর্থ্য থাকলেও প্রিমিয়ার লিগে তাকে তেমন ব্যবহার করা হয় না। এবারের লিগে মোটে এক ম্যাচে বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। নিয়েছিলেন একটি উইকেটও। বোলিংটা নিয়মিত করতে না পারার আফসোসের চেয়ে বাস্তবতাকেই বড় করে দেখলেন সৈকত।

‘‘আমাদের দলের মূল পেসার ছিল তাসকিন আহমেদ ও ফরহাদ রেজা। আসলে আমাদের দেশে যেমন উইকেট তাতে তৃতীয় পেসারকে খাটানো সহজাত নয়। স্পিনারদের উপরই ভরসা করতে হয়। মূল পেসারদের দিয়েই তো ১০ ওভার বোলিং করানো হচ্ছে না।’’

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া সৌম্য সরকারের সাথেই প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ওপেন করেছেন সৈকত। সৌম্য প্রিমিয়ার লিগকে কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরার টিকেট পেয়েছেন। সৈকতেরও চাওয়া ব্যাটে রানের ঝলক দেখিয়েই নির্বাচকদের নজড় কাড়তে। আগামি ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগকে কাজে লাগাতে চান ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ অলরাউন্ডার।

‘‘জাতীয় লিগে গতবারের মতো ঢাকা মেট্রোর হয়েই খেলবো। এবার লক্ষ্য আগেরবারের চেয়ে বেশী রান করা। সবাই দোয়া করবেন যেন নিজের স্বপ্নটা পূরণ করতে পারি।’’

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend