রমরমা কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ শেরপুর সরকারী কলেজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে

imagesশেরপুর সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ রমরমা কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন শেরপুর সরকারী কলেজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর বরাবর এ বিষয়ে এক লিখিত অভিযোগ পত্র প্রেরণ করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ, শেরপুর সরকারী কলেজের (৩-এর পাতায়) হসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক একেএম জাকারিয়া, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার নন্দী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও কতিপয় অসাধু জ্ঞান পিপাষু চক্রের দ্বারা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জোরপূর্বক অতিরিক্ত ক্লাশের নামে কোচিং করতে বাধ্য করা হচ্ছে। গত এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করে কৌশলে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখিয়ে ফরম ফিলাপের টাকার সাথে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে (কোচিং) ৩/৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি মানি রশিদ এর মাধ্যমে গ্রহণ করে লাখ টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা নির্বাচনী পরীক্ষার খাতার নম্বর দেখতে চাইলে বলা হয় যে, ফরম ফিলাপের টাকার সাথে কোচিং এর টাকা প্রদান করলেই চলবে। শেরপুর সরকারি কলেজে কোচিং বাধ্যতামূলক। কোচিং না করলে ফরম ফিলাপের সুযোগ দেওয়া হবে না ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় ভাল মার্ক দেওয়া হবে না। অত্র কলেজে রুটিন অনুযায়ী যেখানে ক্লাশ হয় না সেখানে অতিরিক্ত ক্লাশ যা আমরা মনে করি নাম মাত্র টাকা আদায়ের একটি আধুনিক কৌশল। কলেজের শিক্ষকরা অতি উৎসাহী হয়ে ক্লাশ ফাকি দিয়ে শুধু কোচিং বাণিজ্যের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত। ছাত্র-ছাত্রীরা আরো অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মহোদয়কে ক্লাশের ব্যাপারে বলতে গেলে বলেন অবকাঠামো সংকট, শিক্ষক সংকট ইত্যাদি বলে পাশ কাটিয়ে চলেন। ক্লাশের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখান না। অথচ এই সব অবকাঠামোতে শিক্ষক সংকটের মধ্যে কিভাবে অতিরিক্ত ক্লাশের ব্যাপারে অতি উৎসাহী। ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীগণ বিষয়টি তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ফি আদায় না করে সহজভাবে ফরম ফিলামের সুযোগ প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend