ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আ’লীগ নেতা নিহত
জেলার কালীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় আহত হন কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ (৪০)।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুরুতর আহত আনন্দ মোহন ঘোষসহ অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় আনন্দ মোহন ঘোষকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
আনন্দ মোহন ঘোষ মৃত ফটিক চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তিনি কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
সংঘর্ষের সময় ১০টি মোটরসাইকেল, একটি জিপগাড়িসহ একাধিক চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ইসরাইল হোসেন ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম রয়েছেন।
ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, কালীগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলন উপলক্ষে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রধান অতিথি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহেদ জোয়াদ্দার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভা ১৫ মিনিট চলার পর আব্দুল মান্নানের প্রতিপক্ষ কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল আজিম আনার সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে হামলা চালায়। তাদের লাঠির আঘাতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে সভা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভার প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সংঘর্ষের কারণে সভা পণ্ড হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।