রাজনৈতিক অচলাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
পাঁচ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কঠোর নিন্দা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি মিডিয়ার প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াতেও সরকারের প্রতি নিন্দা জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য জানায়।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনেটর ইডি রয়েসসহ ছয়জন সিনেট সদস্য স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দলের (বিএনপি) রাজনৈতিক কর্মসূচি নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে কঠোরভাবে দমন করায়, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গত কয়েকদিন ধরে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকেও আমরা কঠোরভাবে নিন্দা জানাই। জনগণের অধিকার দমনে বর্তমান সরকার যেভাবে প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে উপর নিয়ন্ত্রণ এবং সেন্সরশীপ আরোপ করেছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। বিরোধী দলের সিনিয়র নেতা তারেক রহমানের বিবৃতি এবং বক্তব্য প্রচারে আদালতের আদেশেও আমরা উদ্বিগ্ন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা, সহিংসতা এবং বিরোধী দলকে লক্ষ্য করে সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড দেশটিকে প্রকৃত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত হানবে। এই অবস্থা চলমান থাকলে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্রতা হ্রাস, ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন অর্জনসহ সামগ্রিক অর্জন বিপন্ন হবে। যা আমরা চাইলেও ঠেকাতে পারবো না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সরকারি দল এবং বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের মধ্যে অনতিবিলম্বে আলোচনা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনেটর ইডি রয়েস, সিনেটর ইলিয়ট এল এঙ্গেল, সিনেটর স্টিভ সেভট, সিনেটর জসেফ ক্রাউলি, সিনেটর জর্জ হল্ডিং এবং গ্রস মেঙ স্বাক্ষর করেন।