এবার বিচারপতি আবু তাহেরের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না— এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বিচারপতি আবু তাহেরের ধানমণ্ডির বাসা লক্ষ্য করে এবার ককটেল হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের গ্রামের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর ধলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুরে। তবে ওই সময় বাসায় কেউ না থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।
উল্লেখ্য, একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বুধবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ২০ মিনিটে বিচারপতি আবু তাহেরের ধানমণ্ডির ৭-এর ‘এ’ নম্বর রোডের ৯২-এর ‘বি’ নম্বর বাসা লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশের বাসায় বিস্ফোরিত হয়।
তিনি জানান, পাশের বাসাটি বিচারপতি রবিন্দ্র চন্দ্রের। দুর্বৃত্তরা ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক খুরশিদ আলম জানান, কে বা কারা বাড়িতে আগুন দেয়। এতে রান্নাঘরের টিনের চাল ও বেড়া পুড়ে যায়।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সাইফুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিচারপতির চাচাতো ভাই রুমেল জানান, ইতোপূর্বে তিনি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। সর্বশেষ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, হামলার সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোরের দিকে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির রান্নাঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। এতে টিনের চাল ও বেড়া পুড়ে যায়।
সর্বশেষ গত বছর মার্চ মাসে একটি বিয়ের দাওয়াতে অংশ নিতে বিচারপতি রেজাউল হক গ্রামের বাড়িতে আসেন।