পারিবারিক কলহ: নিজ সন্তানকে শীতলক্ষ্যায় নিক্ষেপ
পারিবারিক কলহের জের ধরে আল আমিন (০৬) নামে এক শিশুকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর উপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ছুড়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তারই বাবা সুমন মিয়া (৩০)। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তবে শরীরে মোটা জ্যাকেট থাকায় পানিতে না তলানোর কারণে প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানদার ওই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। ঘটনার পর এলাকাবাসী সুমনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার নরিন্দ্রপুর গ্রামের সুমন মিয়া তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। পারিবারিক কলহের কারণে সুমনের স্ত্রী লিজা বড় মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বাবার বাড়ি শরীয়তপুরে আলাদা বসবাস করেন। শুক্রবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মোবাইলে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সুমন তার ছেলে আল আমিনকে কাঁচপুর সেতুর উপরে নিয়ে গিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানদার ঘটনাটি দেখে সঙ্গে সঙ্গেই শিশু আল আমিনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। শিশু ছেলেটির গায়ে মোটা জ্যাকেট থাকার কারণে পানিতে ভেসে ছিল বলে জানিয়েছে ওই দোকানদার। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই দোকানদারের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
এ সময় জনতা সুমনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এ ঘটনার খবর পেয়ে কাঁচপুর সেতু এলাকা থেকে সুমনকে আটক করে।
ধারণা করা হচ্ছে, সুমন মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উদ্ধার করা শিশুটিকে স্থানীয় সেনপাড়া এলাকার আবু বকর সিদ্দিক নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।