অবরুদ্ধ খালেদার ষষ্ঠ দিন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় ষষ্ঠ দিন পার করছেন। কার্যালয়ের প্রধান ফটকে দ্বিতীয় দফা দেওয়া তালা রাতেই খুলে দেয় পুলিশ।
তবে সরানো হয়নি জলকামান ও পুলিশ ভ্যানের ব্যারিকেড। শুক্রবার বিকেলে লাঠি হাতে নারী পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই অবস্থান নেয়।
লাঠি হাতে নারী পুলিশ সদস্যদের অবস্থানের ব্যাপারে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ‘পুরুষ পুলিশ সদস্যদের হাতে অস্ত্র থাকে আর নারী তাদের নিরাপত্তার জন্য লাঠি সঙ্গে রাখেন। এ ছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই আছে।’
সরেজমিন দেখা যায়, কার্যালয়ের সমানের রাস্তার দক্ষিণ পাশে একশ’ গজের মধ্যেই একটি জলকমান ও উত্তর পাশে দুটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়িভাবে রাখা আছে। এ ছাড়া সকাল থেকে নিরাপত্তা পাহারা ঢিলেঢালা থাকলেও বিকেলের দিকে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে সকাল থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অন্যদিনে মতো দলের কোনো নেতাকর্মী বা সুশীল সমাজের কেউ আসেননি।
গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়ি খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনের সড়কে যথারীতি পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো আছে। ওই সড়কে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও পরিচয়পত্র দেখিয়ে ওই সড়কে প্রবেশ করতে হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সকাল বেলা তিনি ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। ঘুম থেকে উঠার পর সকালের নাস্তা সারেন। এরপর বিভিন্ন জেলার নেতাদের খোঁজখবর নেন।’
‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ ডাকে ২০ দলীয় জোট। ওই সমাবেশকে ঘিরে ৩ জানুয়ারি রাতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসুস্থ দলের যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে তিনি বের হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর থেকেই গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া।
৫ জানুয়ারি বিকেলে পূর্বঘোষিত সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং গণমাধ্যমে কথা বলেন। ওই সময় তাকে লক্ষ্য করে পিপার স্প্রে করা হয়। এরপর রাতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।