ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি, শনিবার। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন।
দিনটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং দলের বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ-সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু ১৯৭২ এর জীবন-মৃত্যুর কঠিন চ্যালেঞ্জের ভয়ঙ্কর অধ্যায় শেষ করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে জাতির বিজয় পূর্ণ হয়। এ জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হয়ে আছে।
দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা জন্য কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে ১২ জানুয়ারি সোমবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। দুপুর ২টার দিকে ওই জনসভা শুরু হওয়ার কথা। জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের পাশাপাশি এর সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কর্মসূচিতে যোগাদানের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি দিবসটি যথাযথভাবে পালনেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।