শপথগ্রহণ করেছেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী মাইথ্রিপালা সিরিসেনা আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলম্বোর ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে শপথগ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে তার নতুন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমসিংহও শপথ গ্রহণ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব বিজয়ানন্দ হেরাত এএফপিকে জানান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে পরাজয় মেনে নিয়েছেন এবং জনগণের ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করবেন। তিনি আরো বলেন, পরাজয় মেনে নেওয়ার প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে তার প্রধান সরকারি বাসভবন খালি করে দিয়েছেন।
সিরিসেনা আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিজয় মেনে নেবার জন্য রাজাপাকসেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করেছেন। যার ফলে আমি প্রেসিডেন্ট নিবাচিত হতে পেরেছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সিরিসেনা ৫১.২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপরদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ৪৭.৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। জানা গেছে, ১৫.০৪ মিলিয়ন ভোটারের ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে।
এদিকে মাইথ্রিপালা সিরিসেনা নির্বাচনে জয়লাভের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনাকে অভিনন্দন জানান। এ ছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রাজাপাকসের আগাম পরাজয় মেনে নেওয়াকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তিনি দেশটির নতুন নেতার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পরাজিত রাজাপাকসে ২০০৫ সালে প্রথম শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তার আমলেই প্রায় তিন দশক ধরে চলা তামিল বিছিন্নতাবাদী সংগঠন এলটিটিই’র বিদ্রোহ দমন করা সম্ভব হয়। নিহত হন এলটিটিই প্রধান প্রভাকরণ। যদিও রাজাপক্ষের সরকারের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ দমনের সময়ে যুদ্ধাপরাধের নানা অভিযোগ উঠে। উঠেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এই বিষয়ে সরব হয়েছে। এছাড়া সমালোচকরা মনে করেন, তিনি গৃহযুদ্ধ পরবতী শ্রীলংকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে আপোস-মীমাংসায় ব্যর্থ হয়েছেন।