বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে
৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কোনো বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনেটর ইডি রয়েসসহ ছয়জন সিনেট সদস্য। তারা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দফতর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে রাজনৈতিক স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের ভুয়া বিবৃতি সরবরাহের জন্য নিন্দা জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস গত আট জানুয়ারি জানায়, ‘৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কঠোর নিন্দা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি মিডিয়ার প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াতেও সরকারের প্রতি এই নিন্দা জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনেটর ইডি রয়েসসহ ছয়জন সিনেট সদস্য স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উপরের বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, ‘ওই বিবৃতিতে ভুয়া।’
আরও জানানো হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দফতর থেকে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি সম্পর্কে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
এদিকে, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের ভুয়া বিবৃতি সরবরাহের জন্য নিন্দা প্রকাশ জানান চেয়ারম্যান ও সিনেটর ইডি রয়েস।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের সাংবাদিক ইয়ান সিলভেরা ভুয়া বিবৃতিটি ছাপেন।
যোগাযোগ করা হলে ইয়ান সিলভেরা জানান, ‘বিএনপি’র লন্ডন শাখার সিনিয়র নেতা হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমটিকে ওই বিবৃতি সরবরাহ করেন।’
পরবর্তী সময়ে তা ভুয়া প্রমাণিত হলে, হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ইয়ান সিলভেরাকে জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত।’ কেন এমন হলো তা তদন্ত করা হচ্ছে।