আবাহনীর ৩ হাঙ্গেরিয়ান ফুটবলার ঢাকায়
বিগত দুই মৌসুম ধরে লিগ শিরোপা জিততে পারছে না ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। এবার সেই লীগ শিরোপার বন্ধ্যাত্ম ঘোঁচাতে কোচ করে নিয়ে আসা হয়েছে অস্ট্রিয়ার বংশদ্ভুত বাংলাদেশ ফুটবলের একমাত্র সফল ব্যাক্তি জর্জ কোটানকে। তিনি এসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন খুব শিগ্রই তিন হাঙ্গেরিয়ান ফুটবলার দলে আনছেন। শনিবার আবাহনীতে যোগ দিতে ঢাকায় পা রেখেছেন সেই তিন হাঙ্গেরিয়ান ফুটবলার- জাবোলিচ, এমজুক ,ও ইলুচ গেওলা।
এই তিনজনেরই রয়েছে হাঙ্গেরির প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা। স্ট্রাইকার জাবোলিচ খেলেন জিওরি ইতো ক্লাবে। ইলুচ গিওলা মিডফিল্ডার। আর এমজুক খেলেন লেফট উইঙ্গার হিসেবে। তবে এই তিনজনের আবাহনীতে খেলা নিশ্চিত নয় এখনই।
ক্লাবের ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু জানান, ‘কয়েকটি অনুশীলন সেশন দেখার পরই ঠিক হবে তাদের নেয়া হবে কি না।’
বিদেশীদের মধ্যে ঘানার সামাদ ইউসুফের সঙ্গে আবাহনীর চুক্তি প্রায় নিশ্চিত বলে জানা গেছে। এছাড়া নতুন কোন নাইজিরিয়ানকেও দেখা যেতে পারে ক্লাবটিতে।
জাবোলিচ বলেন, ‘বাংলাদেশ সফর এ্যাডভেঞ্চারের মতো। ভিন্ন দেশে এসে দারুণ লাগছে আমরা বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়েই এসেছি। জানি ক্রিকেট এবং ফুটবল এখানে অনেক জনপ্রিয়।’
শনিবার ঢাকায় পা রাখলেও ওইদিন অনুশীলন করেননি ওই তিন হাঙ্গেরিয়ান। বিশ্রামে ছিলেন তারা। দলের দলের অনুশীলন দেখেন।
দলের দায়িত্ব নিয়েই কোটান দুটি প্রীতি ম্যাচে খেলিয়েছেন দলকে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ বিশ্রাসেনাবাহিনীকে ৩-০ গোলে হারায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিরুদ্ধে। এ ম্যাচগুলো দেখেই দলের শক্তিমত্তা বৃদ্ধি করতে তিন বিদেশী ফুটবলার অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেনন, ‘মূলত দলের ঘাটতি পূরণেই তাদের আনা হচ্ছে। দেশীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে বেশ ভাল দলই গড়েছে আবাহনী। কিন্তু বাংলাদেশের ঘরোয়া লীগে আগে থেকেই বিদেশী ফুটবলারদের দাপট। বিদেশীরাই দলের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়, তাই দলটির ঘাটতি পূরণে এই তিন ফুটবলারকে আনা হচ্ছে।’