অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগে শিক্ষক বহিষ্কার

14মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই নারী গর্ভবতী। তার অনাগত শিশুটির পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষক সুমন।

সুমন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে এবং মহাম্মদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক। বিদ্যালয় পরিচালনা কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য মহাম্মদপুর গ্রামে চলছে দফায় দফায় সালিস-বৈঠক।

অভিযোগে জানা গেছে, সুমনের প্রতিবেশী এক দিনমজুরের মেয়ের বেতবাড়ীয়া গ্রামে বিয়ে হয়। কিন্তু সংসার টেকেনি। আড়াই মাস আগে তালাক হলে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। অবশ্য বিয়ের আগে থেকেই প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক সাইফুল ইসলাম সুমনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে গাংনী হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, ওই নারী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। একপর্যায়ে ওই নারী পরিবারকে জানান, সুমনের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন সুমন।

দিনমজুর পিতা মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ে ও গ্রামবাসীর কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের (ম্যানেজিং কমিটি) সভায় সুমনকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। মহাম্মদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ সাজানো হতে পারে বলেও মনে করেন প্রধান শিক্ষক নজরুল।

এদিকে প্রভাবশালী সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই নারীর পরিবারকে অব্যাহত হুমকির মুখে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। কয়েক দিন ধরে গ্রাম্য সালিস হলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয় ও ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন সুমন। এতে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সালিসে বিচার না হলে মামলা করা হবে বলে জানান তারা। তবে সুমনের পরিবারের হুমকির মুখে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend