আ’লীগের সমাবেশ, তেমন জনসমাগম নেই সোহরাওয়ার্দীতে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ‘ঐতিহাসিক’ মহাসমাবেশে সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তেমন জনসমাগম চোখে পড়েনি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধের মধ্যেও আওয়ামী লীগের সমাবেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সরেজমিনে, দুপুর সোয়া ১টার দিকে সমাবেশস্থলে ২/৩ হাজারের বেশী নেতাকর্মী দেখা যায়নি। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা বলেছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সভাবেশস্থলে ইতোমধ্যে সুবজ ক্যাপ পড়ে উপস্থিত হয়েছেন যুবলীগের শ’পাঁচেক নেতাকর্মী, যুব মহিলা লীগ ও শ্রমিক লীগের পাঁচশ’র মতো নেতাকর্মী।
বিকেল ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়ার কথা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। ইজতেমার কারণে পূর্ব নির্ধারিত ১০ জানুয়ারির সমাবেশ ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুপুর ১টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখ শাহবাগ ও দোয়েল চত্বর দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শুধু তিনটি মিছিল আসতে দেখা গেছে। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেট ও চারুকলা সংলগ্ন গেট বন্ধ রেখেছে।
এ ছাড়া টিএসসি সংলগ্ন গেট দিয়েও জনগণের প্রবেশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। শুধু রমনা কালী মন্দিরের গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করছেন।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছিলেন, ‘আজকের সমাবেশ হবে ঐতিহাসিক। লাখ লাখ লোক জমায়েতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আজ প্রমাণ করবে, দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নিরাপদ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।