চাষীকে গার্ড অব অনার, এফডিসিতে তৃতীয় জানাজা
গুণী নির্মাতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার ও মুক্তিযোদ্ধা চাষী নজরুল ইসলামের মরদেহ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে বিএফডিসিতে আনা হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এফডিসির প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সামনে কফিনে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিএফডিসির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এফডিসির এমডি হারুন অর রশিদ। এ ছাড়াও সম্মান জানায় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসসহ আরও অনেক সংগঠন।
এ সময় পুরো এফডিসিতেই নেমে আসে শোকের ছায়া। নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, সুচন্দা, ববিতা, কবরীসহ এসেছিলেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের প্রবীণরা। অসুস্থ শরীর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকন। চলচ্চিত্র জগতের নির্মাতা, অভিনেতা ও কলাকুশলীদের শোকাবহ আগমনে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষেই চাষী নজরুলের দীর্ঘদিনের কর্মস্থলে আগতদের অংশগ্রহণে তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। বাদ যোহর বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে তার জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমশপুর গ্রামে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থান মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুকালে চাষী নজরুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। রবিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর জসীমউদদীন রোডের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের লাশ। দুপুর ১টা পর্যন্ত তার বাসভবনে রাখার পর ফের বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। ওই দিন কমলাপুর বড় মসজিদ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠে দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।